বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গ্রান্ড ফিনালে হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’ (sa re ga ma pa) নিয়ে। ফাইনাল পর্বে ৬ জন প্রতিযোগীকে হারিয়ে উইনার ট্রফি ছিনিয়ে নিলেও, স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে প্রথম স্থানাধিকারী অর্কদীপ মিশ্রকে।
নীহারিকা নাথ, অনুষ্কা পাত্রের মত প্রতিযোগীদের হারিয়ে অর্কদীপ মিশ্রের প্রথম স্থান অধিকার কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না দর্শক মহল। দীর্ঘ ছয়মাস ধরে যে প্রতিযোগিতা প্রতিটি ঘরে ঘরে উৎসবের মুহূর্ত তৈরি করেছিল, ফাইনালের দিন তা এক মুহূর্তেই দর্শকদের হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।
এবারের প্রতিযোগিতায় মোট ২১ জন প্রতিযোগির মধ্যে থেকে শেষপর্বের লড়াইয়ে টিকে ছিলেন ৬ জন- সঙ্গীতগুরু রাঘবের টিম থেকে নীহারিকা নাথ এবং অনুষ্কা পাত্র, ইমনের দল থেকে জ্যোতি শর্মা এবং অর্কদীপ মিশ্র, আর মনোময়ের দলে ছিলেন রক্তিম চৌধুরী এবং বিদিপ্তা চক্রবর্তী। ফাইনালের প্রথম পর্বে রক্তিম এবং জ্যোতি বাদ হয়ে যাওয়ার পর বিদিপ্তা, নীহারিকা এবং অনুষ্কাকে হারিয়ে উইনার ট্রফি ছিনিয়ে নেয় অর্কদীপ মিশ্র। আর অনুষ্ঠান শেষের রাত থেকেই নেটদুনিয়ায় ওঠে সমালচনার ঝড়।
প্রথমে অর্কদীপের সঙ্গীত গুরু ইমন সমালোচনার শিকার হওয়ায়, তিনি লাইভে এসে নেটিজনদের ট্রোলের স্পষ্ট জবাব দেন। কিন্তু এবার সমালোচিত হলেন বিচারক জয় সরকার (jay sarkar)। সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকারের জাজমেন্ট, সর্বোপরি তাঁর সঙ্গীত জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলে নেটিজনরা। জবাবে জয় সরকারও লাইভে এসে এসবের বিরোধীরা করে স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটা স্ক্রিপ্টেড নয়, বিচারকরা কোনরকম ঘুষও নেন নি’।
স্বামীকে ট্রোলের জবাব দিতে এবার ময়দানে স্বয়ং জয়ের অর্ধাঙ্গিনী গায়িকা লোপামুদ্রা মিত্র (lopamudra mitra)। তিনি জবাব দিয়ে বলেন, ‘গত ২০ বছর ধরে জয়ের সঙ্গে সংসার করায়, তাঁর থেকে জয়কে ভালো কেউ চেনেন না। ক্রমশ মানসিক চাপ তৈরী করা হচ্ছে নির্দোষ অর্কদীপের উপর। আগামী বছর তো এই সিজেনের সকলকে ভুলেও যাবেন দর্শক। তবে এটা পরিষ্কার, গতবছর লকডাউনে যেমন সকলে ডালগোনা কফি বানিয়েছিলেন, তেমনই এবারে লকদাউন হলে সকলে অর্কদীপকে নিয়েই কাটাছেঁড়া করে যাবেন’।