বাংলাহান্ট ডেস্ক: সোনু সূদ (sonu sood), লকডাউনে এই নামটার সঙ্গে যেন নতুন করে পরিচিত হয়েছিল দেশবাসী। এমন নয় যে সোনুকে আগে কেউ চিনতেন না। অভিনেতা হিসাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় না হলেও তাঁর পরিচিতির সঙ্গে ওয়াকিবহাল ছিলেন সকলেই। কিন্তু মহামারির সময় যেন সোনুর এক অন্য রূপের সঙ্গে পরিচিত হল মানুষ।
করোনা পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিককে কিভাবে নিজেদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে যখন তাবড় রাজনীতিবিদদের কপালে চিন্তার ভাঁজ, সেই সময়েই ত্রাতা হিসাবে এগিয়ে আসেন সোনু। তথাকথিত প্রথম সারির তারকা না হয়েও সম্পূর্ণ নিজের উদ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিজের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন সোনু।
অতি সম্প্রতি করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন সোনু। আর কোভিড মুক্ত হয়েই নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষের সাহায্যে। অবশ্য করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার সময়েও মানুষের সাহায্য করার থেকে পিছু হটেননি অভিনেতা।
এবার এক করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ারলিফট করে নাগপুর থেকে হায়দ্রাবাদ পৌঁছে দিলেন সোনু। বছর পঁচিশের ভারতীকে সোনুর সাহায্যেই নাগপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনায় তাঁর ফুসফুসের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান ভারতীর ফুসফুস বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাঁকে হায়দ্রাবাদে নিয়ে যেতে হবে।
এক মুহূর্তও দেরি করেননি অভিনেতা। আগে থেকেই খোঁজ খবর নিয়ে রেখেছিলেন হায়দ্রাবাদের হাসপাতালে। তবে একমো সাপোর্ট ছাড়া কোনো ভাবেই যেতে পারতেন না ভারতী। তাই তাঁর জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করেন সোনু।
ভারতীর বাবা একজন রেলের অফিসার বলে জানা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভারতীর বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ২০ শতাংশ। কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না সোনু। তাঁর বিশ্বাস এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে ভারতী ঠিক ফিরবেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করে টুইটও করেছেন সোনু।