বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে জনপ্রিয় গায়িকাদের মধ্যে অন্যতম নাম পলক মুচ্ছল (palak muchhal)। মিষ্টি মুখের মেয়েটির ততোধিক মিষ্টি কণ্ঠের জাদুতে আমরা কম বেশি সকলেই মুগ্ধ হয়েছি। তবে পলক শুধু মাত্র অসাধারন গায়িকাই নন। আরো অনেক গুণ রয়েছে তাঁর। প্লেব্যাক সিঙ্গারের পাশাপাশি সমাজসেবিকা হিসাবেও যথেষ্ট নামডাক রয়েছে পলকের। নামজাদা গায়িকা হয়েও আদতে কিন্তু একেবারেই মাটির মানুষ তিনি।
নিজের রোজগারের টাকায় শিশুদের হার্টের অপারেশন করান পলক। এখনো পর্যন্ত বাইশশো শিশুর বিনামূল্যে হার্টের অপারেশন করিয়েছেন তিনি। এহেন পলক দেশের এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন তা কি হয়? একেবারেই না। আর সেই জন্যই দুঃস্থ অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল গড়ে তুলছেন পলক।
নিজেই সোশ্যাল এই মিডিয়ায় এই সুখবর জানিয়েছেন পলক। তিনি লেখেন, ‘আমার হাসপাতাল তৈরির স্বপ্নটা অবশেষে বাস্তবায়িত হতে চলেছে। যাদের চিকিৎসা করার সামর্থ নেই এখানে বিনামূল্যে তাদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। হাসপাতাল তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।’
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালবাসা ও আশীর্বাদ উপচে পড়েছে পলকের জন্য। গায়িকার ইন্ডাস্ট্রির সতীর্থদের অনেকেই কমেন্ট করেছেন। তাঁরা যে পলকের জন্য অনেক গর্বিত তা জানিয়েছেন কমেন্টে। শুধু জনপ্রিয়তা পেয়েই থেমে যাননি পলক। একজন প্রকৃত ভাল মানুষ হয়ে দেখিয়েছেন তিনি।
https://www.instagram.com/p/COhiLZEn4oi/?igshid=ms4ntxvqr9j6
তবে এসব কাজ সবে সবে শুরু করেননি পলক। অনেক ছোট্ট বয়স থেকেই সমাজসেবার কাজে যুক্ত তিনি। প্রথমে কল্যাণজি আনন্দজির লিটল স্টার গ্রুপে যোগ দিয়েছিলেন পলক। তখন তাঁর বয়স মাত্র চার বছর। কার্গিল যুদ্ধের সময় পলক ছিল সাত বছর বয়সী। সেই সময় যুদ্ধের শহীদদের পরিবারের জন্য ইন্দোরের দোকানে দোকানে গায় গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন ছোট্ট পলক। ওই বছর ওড়িশার ভয়াবহ সাইক্লোনে ত্রাণ সংগ্রহের জন্য চ্যারিটি শোও করেছিলেন তিনি।
পলকের সমাজসেবার কাজের জন্য মাত্র উনত্রিশ বছর বয়সে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ও লিমকা বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে তাঁর। ভারত সরকারও সম্মানিত করেছে তাঁকে।