বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক কিংবদন্তির প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে মহামারী করোনা। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলো আরো এক কিংবদন্তির নাম। এবার পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চিরঘুমের দেশে পাড়ি জমালেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা পদ্ম সম্মানে সম্মানিত ভাস্কর রঘুনাথ মহাপাত্র। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বর্তমানে করোনা সংক্রমিত হওয়ার কারণে ভুবনেশ্বর এইমসে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। আজ বিকেলেই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই জনপ্রিয় ভাস্কর তথা চিত্রশিল্পী।
এইমসের চিকিৎসক ডাক্তার সচ্চিদানন্দ মহান্তি জানান, আজ বিকেল ৩:৪৯ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রঘুনাথ। গত ২২ এপ্রিল শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভুবনেশ্বর এইমসে ভর্তি করা হয় তাকে। ২৫ এপ্রিল শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হলে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় রঘুনাথবাবুকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে গেল চিকিৎসকদের অক্লান্ত প্রচেষ্টা। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এদিন টুইটে শোকবার্তা জ্ঞাপন করে তিনি লেখেন,
” সাংসদ শ্রী রঘুনাথ মহাপাত্রজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকস্তব্ধ। শিল্প, স্থাপত্য ও সংস্কৃতি বিশ্বে অগ্রণী অবদান রেখেছিলেন তিনি। ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর পরিবার এবং প্রশংসকদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ওম শান্তি।”
Saddened by the demise of MP Shri Raghunath Mohapatra Ji. He made pioneering contributions to the world of art, architecture and culture. He will be remembered for his contributions towards popularising traditional crafts. My thoughts are with his family and admirers. Om Shanti.
— Narendra Modi (@narendramodi) May 9, 2021
১৯৪৩ সালের ২৪ মার্চ ওড়িশার সাসানপাডিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন রঘুনাথ মহাপাত্র। ছোটবেলা থেকে ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ও ভাস্কর্যের প্রতি আগ্রহ ছিল তার। ১৯৬৪ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সেই ভাস্কর্যের জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এরপর ১৯৭৬ সালে প্রথমবার পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হন রঘুনাথ। শিল্পে অনবদ্য অবদানের জন্য ফের ২০০১ সালে তাঁকে সম্মানিত করা হয় পদ্মভূষণ পুরস্কারে। ২০১৩ সালে তার অনবদ্য প্রতিভা ফের একবার সম্মানিত হয় পদ্মবিভূষণ সম্মানে। শিল্প ও ভাস্কর্যের জগতে তাঁর এই প্রয়ান নিশ্চই এক অপূরনীয় ক্ষতি।