বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যমুনার জলে ভাসছে কয়েক ডজন লাশ, এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উত্তরপ্রদেশের হরিরামপুর এলাকার গ্রামবাসীরা। তাদের সন্দেহ, এই করোনা আবহে কোভিড সংক্রমিত কিছু লাশ সৎকার না করেই ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে যমুনার জলে। কোথা থেকে এলো এই এত মৃতদেহ? এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট খবর নেই প্রশাসনের কাছেও।
জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে হরিরামপুর অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা যমুনায় একাধিক মৃতদেহ ভাসতে দেখেন। এরপর স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে। হরিরামপুর সহ আশপাশের এলাকায় রীতিমত ভয়ানক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পরিমাণ এতটাই বেশি যে শ্মশানে দেহ করানোর ব্যবস্থা করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সকলকে। এই অবস্থায় একদিকে যেমন ফাঁকা মাঠে পোড়ানো হচ্ছে মৃতদেহ। তেমনি অন্যদিকে অনেকেই মৃতদেহ সৎকার না করে তা ভাসিয়ে দিচ্ছেন যমুনার জলে। এ ঘটনায় অনেকেই অভিযোগ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। তাঁদের দাবি, বেশ কিছু গ্রামের মানুষ শ্মশানে না পুড়িয়ে, ফাঁকা মাঠে দেহ পোড়াচ্ছে। সবকিছু দেখেও চুপ প্রশাসন। শুধু তাই নয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, কত লাশ পোড়ানো হচ্ছে সেই সংক্রান্ত কোনো সঠিক খবরও নেই প্রশাসনের কাছে।
এই বিষয়ে হরিরামপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার অনুপকুমার সিং জানান, কানপুর ও হরিরামপুরের সীমানা বরাবর বয়ে চলেছে যমুনা নদী। এই নদীতে মৃতদেহ ভাসিয়ে দেওয়া আশপাশের গ্রামের পুরনো রীতি। মাঝে মধ্যেই দেখা যায় নদীতে ভাসছে একটি-দুটি মৃতদেহ। অতিমারীতে যেভাবে লাশ জমতে শুরু করেছে তার থেকেই বোঝা যায় মৃত্যু-দর কত খানি বেশি। অনেকেই না পুড়িয়ে মৃতদেহ নদীর জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন কেবল আতঙ্কের বশে। এই ঘটনা বন্ধ করতে প্রশাসনের ভূমিকা কী তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।