দরকারে ফের রাজমিস্ত্রীর কাজ করব, তবুও এলাকাবাসীর অধিকার আদায় করে ছাড়বঃ চন্দনা বাউরি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্য বিজেপির সবথেকে দরিদ্র তথা সবথেকে জনপ্রিয় প্রার্থী ছিলেন বাঁকুড়ার শালতোড়ার চন্দনা বাউরি। রাজমিস্ত্রী স্বামী আর দুই সন্তানকে নিয়ে সুখে দুঃখে সংসার চালানো চন্দনা তৃণমূলের বড়লোক প্রার্থী সন্তোষ মণ্ডলকে হারিয়ে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক হয়েছেন। দিন দুয়েক আগে তিনি বাঁকুড়া থেকে গাড়ি ভাড়া করে কলকাতায় গিয়ে শপথ নিয়েছেন।

শালতোড়ের মানুষের হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে এবার ভোটের ময়দানে নেমেছিলেন চন্দনা। এলাকায় জোর কদমে করেছিলেন প্রচার। এমনকি মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীও ওনার সমর্থনে এসে রোড শো করে যান। ২ মে ফল ঘোষণার দিন দিকে দিকে যখন বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চ্যাটার্জীদের মতন বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থীরা হেরে যাচ্ছিলেন, তখন আরেকদিকে প্রথমবার জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন চন্দনা।

chandana feature

মূলত এলাকার গরিব মানুষদের পাশে থাকার অঙ্গীকার নিয়েই এবার ময়দানে নেমেছিলেন চন্দনা। পাশাপাশি এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া ছাড়াও আরও অনেক লক্ষ্য রেখেছেন তিনি। একুশের মহারণে জয়ের পর এলাকাবাসী চন্দনাকে বলেন, ‘বিধায়ক তো হয়েগেছিস এবার মোটা টাকার ভাতাও পাবি।” কথা শুনে মুখ বুজে থাকেন নি বিজেপির এই জনপ্রিয় বিধায়ক।

bjp chandana

চন্দনা এলাকার জানায়, ‘কত টাকা ভাতা পাব আমি জানিনা। তবে সেই ভাতার টাকাও নিজের জন্য খরচ করব না আমি। পাড়া-প্রতিবেশী আর আমার কেন্দ্রের গরিব মানুষদের স্বার্থে খরচ করব। দরকার হলে আবারও স্বামীর সঙ্গে গিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজ করব। ওই কাজ করায় আমার কোনও লজ্জা নেই। কোনওমতে খেয়ে বাঁচব তবুও বিধানসভায় গিয়ে শালতোড়ার মানুষের হয়ে কথা বলব।

chandana 630x420 1

চন্দনা বলেন, যারা যারা উন্নয়ন হয়েছে বলে চিৎকার করছেন তাঁরা আমাকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা ঘুরুন। আমি দেখিয়ে দেব উন্নয়নের আসল রূপ। চন্দনা জানান, বিধানসভা গিয়ে আমার এলাকার মানুষদের কাজের দাবি জানাবো আমি। শাসক দল আমার কথাটা কত শুনবে জানিনা, তবে আমি আমার নিজের চেষ্টা করে চলব।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর