বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অমিত শাহ মিসিং অর্থাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিখোঁজ। শুনে অবাক লাগলেও এই মর্মে দিল্লি পুলিশের কাছে ডায়েরি করলেন ছাত্রনেতা নাগেশ কারিআপ্পা। কিন্তু হঠাৎ এই ধরনের ডায়েরি করার অর্থ কি? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তো হামেশাই দেখা যাচ্ছে টিভির পর্দা থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তিনি নিখোঁজ হলেন কিভাবে। স্বাভাবিক ভাবেই এই প্রশ্ন করেছিলেন পুলিশ কর্তাও। উত্তরে ওই ছাত্রসংগঠন ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার সাধারণ সম্পাদক নাগেশ কারিআপ্পা জানান, এই মুহূর্তে কোভিড মহামারীতে বিধ্বস্ত গোটা amit দেশ। সরকারের উচিত এ সময় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা। কিন্তু এই চরম বিপদের দিনে মানুষের পাশে দেখা যাচ্ছে না কেন্দ্রের রাজনৈতিক নেতাদের। এদিনও টুইটারে ট্রেন্ডিংও ছিল “অমিত শাহ মিসিং” নামের এই হ্যাশট্যাগ। এই হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করে টুইট করেন প্রায় ৫০০০ মানুষ।
পুলিশ আধিকারিকের জিজ্ঞাসাবাদের উত্তরে সংগঠনের মুখপাত্র তথা সর্বভারতীয় সম্পাদক লোকেশ চুঘ বলেন, ‘‘২০১৩ সাল পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের দেখা যেত সাধারণ নাগরিকদের দায়িত্ব নিতে। কিন্তু ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে সব কিছুই বদলে গিয়েছে। এখন প্রশাসনের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অতিমারীর সময়েই নিখোঁজ।’’ তাদের অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রীর পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অথচ গোটা দেশজুড়ে পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে যেতে বসেছে দিনের পর দিন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। অসহায় মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছেন কাতারে কাতারে মানুষ৷ তখন দেশের সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে সাধারণ মানুষের দেখা যাচ্ছে না কেন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মাঝে কয়েক দিনের জন্য দৈনিক কোভিড সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও ফের তা বাড়তে শুরু করেছে। চিকিৎসা ব্যবস্থার দশাও বেহাল। অথচ এই অবস্থায়ও সেভাবে কোন সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি অমিত শাহকে। তাই তার থাকা না থাকার কোন পার্থক্যই চোখে পড়ছে না সাধারণ মানুষের। সংগঠনের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, “করোনা পরিস্থিতির জন্য দেশ একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যেকে চাই এই পরিস্থিতিতে সরকার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াক। দেশের জনগনের কাছে সরকারকে উত্তর দিতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ মোদি সরকার। সেই কারনেই এই নিখোঁজ রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। আমরা চাই সরকার সামনে এসে নিজের পক্ষ রাখুক।” এনএসইউআইয়ের তরফে আবেদন জানানো হলেও সরকার তরফে এর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হয় সেদিকে তো অবশ্যই নজর থাকবে সকলের তবে এই অভিযোগ জানানোর পদ্ধতিটি সত্যিই অভিনব তা বলাই বাহুল্য।