তৃণমূলের যোগ দেওয়ার জন্য বিজেপির বিধায়করা যোগাযোগ করছেন! চাঞ্চল্যকর দাবি কুণাল ঘোষের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একুশের নির্বাচনে বাংলা কি পাখির চোখ পড়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বিরোধীদের কথায়, বাংলায় প্রায় ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ অন্যান্য হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। বিশাল বিশাল জনসভায় বাংলার মানুষকে বারবার সম্বোধিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিও। বাংলা এবার দু’শোর বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার ডাক দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা বিজেপির চাণক্য অমিত শাহ। শুধু তাই নয় বিজেপির দাবি ছিল ফলাফল অনেক ভালো হবে উত্তর প্রদেশের থেকেও। কিন্তু ২ মে ফলাফল প্রকাশের পর মাত্র ৭৭ আসনেই আটকে যায় বিজেপি। ২১৩ টি আসনের বিপুল সংখ্যক জনসমর্থন নিয়ে এই মুহূর্তে ফের একবার ক্ষমতায় ফিরেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। আর এরপরই শুরু হয়েছে ফের একবার দলবদলের গুঞ্জন। এবার ফের সেই জল্পনার আগুনে ঘৃতাহুতি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ।

একুশের নির্বাচন শুরুর আগেই তৃণমূলের শুরু হয় ব্যাপক ভাঙ্গন। দলে কাজ করতে পারছেন না এমন বার্তা দিয়ে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, সোনালী গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাসদের মতো একাধিক নেতানেত্রী। তৃণমূলের এই বড়োসড়ো ভাঙ্গন রীতিমত আশা জাগিয়ে ছিল বিজেপির অন্দরেও। এই দল গঠন কারীদের নিয়েই মূলত ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু নির্বাচন শেষে কার্যত দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া গড় রক্ষা করতে পারেনি কেউই। আর এরপরই শুরু হয়েছে ফের একবার ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের দল, অন্তত এমনটাই দাবি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নির্বাচনে জয়ের পর এই দলবদলকারীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছিলেন সকলকে স্বাগত, এলে আসুক না।

এই সূত্র ধরেই এ দিন ফের একবার মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, একের পর এক নেতা, একের পর এক নেত্রী অবিরাম ফোন করছেন। হোয়াটসঅ্যাপ করছেন। আমাকে করছেন। নিশ্চয়ই ধনের উচ্চপদস্থ নেতৃত্বকেও করছেন এদের মধ্যে যেমন রয়েছেন নির্বাচনে পরাজিত, টিকিট না পাওয়া নেতা-নেত্রীরা। তেমনই রয়েছেন অনেক জয়ী বিধায়কও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও একই রকম দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ। এদিন ফের একবার কথার সূত্র ধরে তার আগের বক্তব্যকে ফিরিয়ে আনেন তিনি। তবে কারও নাম করে তাকে বিরম্বনায় ফেলতে চান নি কুনাল। বরং রসিকতা করে তিনি বলেন কারা যোগাযোগ করছে এর থেকেও তারা যোগাযোগ করছে না এটা বলা বেশি সহজ। এখন আগামী দিনের রাজনৈতিক সমীকরণ কতখানি বদলায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে কুনালের এই বার্তা যে তাৎপর্যপূর্ণ তা মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই।


Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর