বাংলাহান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকি জেলায় রাম সনেহি ঘাট তহসিল চত্বরে ভেঙে ফেলা অবৈধ নির্মাণকে মসজিদ আখ্যা দিয়ে বিরোধিতা চলছে। যেই জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলা হয়েছে, শুক্রবার সেখানকার ছবি আর ভিডিও তোলার অপরাধে পাঁচজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। ধৃতরা উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউ-এর বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
आज दिनांक 21.05.2021 को तहसील रामसनेहीघाट परिसर में संदिग्ध अवस्था में 05 व्यक्ति घूमते हुये पाये गये, #barabankipolice द्वारा सुसंगत धाराओं में अभियोग पंजीकृत कर अभियुक्तों को गिरफ्तार कर जेल भेज कर अग्रिम विधिक कार्यवाही की जा रही है ।#UPPolice @Uppolice @adgzonelucknow
— Barabanki Police (@Barabankipolice) May 21, 2021
বিতর্কিত জায়গার ছবি আর ভিডিওগ্রাফি করতে লখনউ থেকে আসা ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগের সভাপতি মতিন খান সমেত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে মহামারী আইন লঙ্ঘনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মহম্মদ মতিন খান এবং তাঁর সঙ্গীদের বিতর্কিত স্থলের ছবি-ভিডিও তুলতে দেখে রাজস্ব বিভাগের কর্মীরা পুলিশ ডাকে। এরপর পুলিশ এসে পাঁচজনকে গ্রফতার করে। SDM দিবাংশু প্যাটেল জানান, এঁরা এলাকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছিল।
থানার ইনচার্জ সচ্চিদানন্দ রায় বলেন, করোনা মহামারীর কারণে রাজ্যে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনের মধ্যে লখনউ থেকে পাঁচ জন এসে বিতর্কিত স্থানের ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করছিল। শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কায় তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে আর জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে। মহামারী আইন অমান্য করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, উত্তর প্রদেশের বারাবাঁকি জেলায় প্রশাসন অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়। এরপর প্রশাসনের বিরুদ্ধে ১০০ বছরের পুরনো ‘গরিব নওয়াজ মসজিদ” ভাঙার অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন দ্বারা বিতর্কিত জমিতে অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়ায় মুসলিম সংগঠন এবং রাজ্যের বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে মোর্চা খুলে ফেলে। এছাড়াও তাঁরা ওই জায়গাতেই মসজিদের পুননির্মাণের দাবি করে।