বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে বাড়ি থেকে তুলি নিয়ে যায় সিবিআই-এর আধিকারিকরা। এরপর নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করিয়ে সবাইকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার খবর পেতেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই দফতরে পৌঁছে যান। এবং সেখানে তিনি ছয় ঘণ্টা ধরনা দেন। আদালতে নারদা মামলার শুনানি শেষ হওয়ার পর তিনি নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসেন। তিনি এও বলেন যে, এবার যা বলার আদালতে বলব।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেরিয়ে আসার পর ধৃত চার হেভিওয়েট নেতাদের জামিন মঞ্জুর করে নিম্ন আদালত। এরপর সিবিআই হাইকোর্টে গিয়ে ধৃতদের জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানায়। সিবিআই-এর অনুরোধে ধৃত চার নেতাকে তিনদিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠায় হাইকোর্ট। প্রেসিডেন্সি জেলা চারজনকে নিয়ে যাওয়ার পরই হঠাৎ অসুস্থ বোধ করেন মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর দুজনে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম-এ।
পরের দিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএম-এ নিয়ে যাওয়া হয়। সবাইকেই উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। শুক্রবার হাইকোর্টে নারদা মামলা শুনানি হয়। দুই বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সময় মতবিরোধ দেখা দেয়। এরফলে ধৃতরা জামিন পেলেও তাঁদের হাউস অ্যারেস্টে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সোমবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
শুক্রবার মামলার শুনানির পর ফিরহাদ হাকিমই একমাত্র বাড়িতে গিয়েছেন। বাকি তিনজন মদন, শোভন এবং সুব্রত এখনও এসএসকেএম-এ আছেন। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। তাঁরা কবে বাড়ি ফিরতে পারবে, সেটা নিয়েও কিছু বলা যাচ্ছে না। আর এরই মধ্যে একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। ভাইরাল ওই ভিডিওতে মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে উডবার্ন ওয়ার্ডের করিডরে পাইচারি করতে দেখা যাচ্ছে। মদন মিত্রকে গায়ে একটি চাদর জড়িয়ে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে।
তবে কি কারণে তাঁরা এই পাইচারি করছিল, সেটা জানা যায়নি। আরেকদিকে, নিরাপত্তা রক্ষীরা যখন বুঝতে পারেন যে, ঘটনার ভিডিও বাইরে থেকে রেকর্ডিং হচ্ছে, তখন তাঁরা তড়িঘড়ি লাইট নিভিয়ে দেন। এরপর আবার লাইট জ্বালিয়ে দেয়। কি কারণে তাঁরা পাইচারি করছিল সেটা নিয়ে ধন্দে রয়েছে সবাই।