বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় তৃণমূল সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই সরব রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে এই মুহূর্তে তিনি খবরের শিরোনামে সম্পূর্ণ অন্য কারণে। সিবিআই জানিয়েছে এই প্যানডেমিকের মধ্যেও নারদ কান্ডে রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতাকে গ্রেফতারির অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরই। একথা ঠিক যে, এক্ষেত্রে স্পিকারের কাছে কোনো আবেদন জানানো হয়নি। তার বদলে সিবিআইকে অনুমতি দেন রাজ্যের রাজ্যপাল। যা নিয়ে শুরু থেকেই সরব তৃণমূল। রাজ্যপালের এ ধরনের পদক্ষেপকে শুরু থেকেই কটাক্ষ করে আসছে তারা। এর আগেও তাকে নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ফের একবার রাজ্যপালকে নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল তাকে।
কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষঃ
এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া ইন্টারভিউতে কল্যান বলেন, “আমি জানি সংবিধান অনুযায়ী এখন ওনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে আমি সবাইকে বলছি সব থানায় ধনকড়ের বিরুদ্ধে মামলা করুন। উনি যেভাবে রাজ্যজুড়ে আতঙ্ককে প্রশ্রয় দিয়েছেন, যেভাবে ধর্মীয় বিভাজন করেছেন, যখন উনি রাজ্যপাল থাকবেন না, তখন কেস শুরু করা যাবে। বলা যায় না, হয়তো প্রেসিডেন্সি জেলেই ওনার ঠাঁই হবে।” একইসঙ্গে এদিন রাজ্যপালকে “রক্তচোষা” বলেও কটাক্ষ করেন করলেন। শুধু রাজ্যপালই নয় কেন্দ্রের মোদি সরকারের প্রতি কটাক্ষ উঠে আসে তার বিবৃতিতে, তিনি বলেন, “২০২৪ সালের পর অনেক বিজেপি নেতাই জেলে থাকবেন। তারা কোভিড সামলাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ, যেভাবে ১৩০ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে ব্যর্থ জেনে রাখুন মানুষ কোনদিন তাদের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনবেন না।”
রাজ্যপালের টুইট ও দিলীপ ঘোষের বক্তব্যঃ
কল্যাণের এই মন্তব্য নিয়ে টুইটে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপালও। এদিন তিনি লেখেন, “উনি তৃণমূলের একজন বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা। একজন বর্ষীয়ান সংসদ এবং আইনজীবীও। ওনার এ ধরনের বক্তব্য দেখে আমি হতবাক। আমি বিষয়টি পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যম এবং এখানকার শিক্ষিত রুচিবান ও সংস্কৃতি সম্পন্ন মানুষের উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।”
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1396383168190509056?s=19
অন্যদিকে রাজ্যপালের প্রতি এ ধরনের মন্তব্যের কটাক্ষ ছু্ঁড়ে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। এদিন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে উন্মাদ বলে তিনি বলেন, আমি ওর কোনো গুরুত্ব নেই। অবশ্য পাল্টা দিলীপ ঘোষকে উন্মাদ আখ্যা দিয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন উনি হাত ভাঙ্গব পা ভাঙ্গব অনেক কিছু বলেছিলেন কিন্তু বাংলার মানুষই ওনাকে শুইয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে কল্যাণের এই কটাক্ষে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি।