নবীন পট্টনায়ক সরকারের দুর্দান্ত পদক্ষেপ, ওড়িশায় পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বিপর্যয় ও মহামারী মোকাবিলার পাঠ

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে যেমন করোনার সাথে সাথে দুর্বিষহ ঘূর্ণিঝড়ের বিপর্যয় পরপর দু’বছর সামলালো বাংলা। তেমনি অন্যদিকে একইভাবে আক্রান্ত হয়েছে ওড়িশাও। বাংলায় ফনি সেভাবে প্রভাব না ফেললেও ওড়িশায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি করেছিল এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর আমফান এবং ইয়াস। একদিকে করোনা যখন রীতিমত ভয়ানক হয়ে উঠছে রাজ্যগুলিতে তখনই বারবার এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রীতিমতো বিধ্বস্ত প্রশাসন। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মানুষকে সচেতন করা। ওড়িশার একটি বড় অংশের মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে সমুদ্রের উপর। মৎস্যজীবী এই পরিবারগুলিই স্বাভাবিকভাবেই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ঝড় অথবা বন্যায়। কারণ উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতেই বেশি বিধ্বংসী হয়ে ওঠে যেকোনো ঘূর্ণিঝড়। আর সেই কারণেই এবার মানুষকে সচেতন করতে অভিনব সিদ্ধান্ত নিল নবীন পট্টনায়ক সরকার।

এর আগেই প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষতিপূরণের জন্য একটুও আরজি না জানিয়ে সকলের নজর কেড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। এবার মানুষের মধ্যে সচেতনতা আরো বাড়াতে স্কুল-কলেজের পাঠক্রমে মহামারী মোকাবিলার পাঠকে পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিল তারা। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, স্কুল-কলেজের পাঠক্রমের মধ্যে মহামারী মোকাবিলার পাঠকে অন্তর্ভুক্ত করলে ছাত্র-ছাত্রীদের এ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান তৈরি হবে। ফলতো লোকজনকে যেমন আরো বেশি সচেতন করা সম্ভব হবে তেমনি সম্ভব হবে মহামারীকে সঠিকভাবে মোকাবিলা করাও। শুধু তাই নয়, আগামী দিনে এই ছাত্র-ছাত্রীরাই বিভিন্ন সরকারি আধিকারিকের আসনে বসবেন। ওড়িশা সরকারের মতে, মহামারী বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকলে আগামী দিনে অনেক সহজেই মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

nabin

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার পঞ্চম দফা সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির কারণে নবীন পট্টনায়কের নেতৃত্বে বৈঠকে বসেছিল ওড়িশার মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকেই জানানো হয়, “এখন থেকে সমস্ত স্কুল ও কলেজের পাঠক্রমের অংশ হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীরা দুর্যোগ এবং মহামারী মোকাবিলার পাঠ গ্রহণ করবে।” ১৮৯১ সাল থেকে প্রায় ১০০ টি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে ওড়িশায়। বারবারই অসচেতনতার কারণে গিয়েছে বহু প্রাণ।

এবার ইয়াসেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২৪ টিরও বেশী গ্রাম। সেই কথা মাথায় রেখেই নবীন পট্টনায়ক বলেন, “পঞ্চম দফা সরকার গঠনের দাবি ২০১৯ সালে আমাদের ফনির মোকাবিলা করতে হয়েছিল। তারপর থেকে গত দু’বছর ধরে করোনার একের পর এক ঘূর্ণিঝড় সামলাচ্ছি আমরা।”

এখন আগামী দিনের সরকারি পদক্ষেপ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে সে দিকেই নজর থাকবে সকলের। অন্যান্য রাজ্যেও ধরনের নতুন পদক্ষেপকে গ্রহণ করা হয় কিনা, সেটা অবশ্যই একটি কৌতূহলের বিষয়

Abhirup Das

সম্পর্কিত খবর