বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মোদি সরকারের দ্বিতীয় দফার কার্যকালের দু বছর পূর্ণ হয়েছে ইতিমধ্যেই। একদিকে করোনা বিপর্যয়, অন্যদিকে অর্থনীতির ক্রমাবনতি সব মিলিয়ে রীতিমতো নাজেহাল মানুষ। আর তার জেরেই এখন সমালোচনার মুখে মোদি সরকার ২.০। যদিও বিভিন্ন সমীক্ষায় এখনো জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে সরকার। কিন্তু বাড়তে থাকা বেকারত্ব, কৃষি বিল, এনআরসি, সিসিএর কারণে মসৃণ যাত্রা ইতিমধ্যেই অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে।
বিতর্ক চলছে দেশীয় সংবাদমাধ্যম গুলিতেও। এমনই এক বিতর্ক সভায় ‘আজ তাক ‘ চ্যানেলে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপি মুখপত্র সম্বিত পাত্র এবং কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনেত। করোনা সামলাতে ব্যর্থতা ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের উপর ভিত্তি করে মোদি সরকারের উপর দোষারোপ করেন তিনি। সাথে সাথে তিনি এও বলেন, আপনাদের বিজেপি সরকার তো চীনের নাম নিতে ভয় পায়।
অথচ ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানকে দু’টুকরো করে দিয়েছিলেন। জবাবে বেশ কিছুটা উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন সম্বিতও। ফলে কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে দেশদ্রোহের প্রসঙ্গ। সম্বিত বলেন, চীনের বিরুদ্ধে যখন স্ট্যান্ড অফ চলছে। তখন ডোকলামে চীনের স্ট্যান্ডে কংগ্রেসের লোকজনের ছবি পাওয়া গেল। প্রথমে তারা তো বলেই দিয়েছিলেন যে তারা যাননি। তারপর প্রমাণ পেতে বললেন, আমরা গিয়েছিলাম। একইসঙ্গে ২০০৮ সালে কংগ্রেস চীনের সঙ্গে টাকার লেনদেন করেছে বলেও দাবি করেন সম্বিত।
How educated ..How Cultured…Wah!!#GaliWaliMadam pic.twitter.com/VfPQsKPumm
— Sambit Patra (@sambitswaraj) May 30, 2021
টিভি চ্যানেলের এই বিতর্ক থেকে রাহুল “গান্ধী হায় হায়” স্লোগানও দেন তিনি। এর পরেই আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিতর্ক। সুপ্রিয়া বলেন, সম্বিত পাত্র নর্দমার কীট। এই অংশটি পরে নিজে টুইট করেছেন বিজেপি মুখপত্র সম্বিতও। তিনি লেখেন ‘বাহ গালিওয়ালী মেমসাব’। সবমিলিয়ে তাপ উত্তাপের মাত্রা এখন চরমে।