বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তার দল ত্যাগ নিয়ে জল্পনা এই প্রথমবার নয়। এর আগেও নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শুভেন্দুর মতো ততটা খারাপ নয় মুকুল এই বাক্যবন্ধ শোনার পরেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। নির্বাচনের পরে তার দোনামোনা ভাব দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তোবা ফের একবার দলবদল করতে পারেন তথাকথিত এই রাজনীতির চাণক্য। কিন্তু সেবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে টুইট করে মুকুল রায় পরিষ্কার জানান, তিনি বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী। তাই দলবদলের কোন প্রশ্নই উঠছে না। কিন্তু ফের একবার সামনে এলো দিলীপ-মুকুল দ্বন্দ্ব। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের ডাকা বিজেপির বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায়।
মঙ্গলবার হেস্টিংস কার্যালয় একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিল বিজেপি। রাজ্যের সমস্ত বিধায়কদেরই যোগ দেওয়ার কথা ছিল এই বৈঠকে। সশরীরে হাজির হতে না পারলেও অনেকেই ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তবে সশরীরে বা ভার্চুয়ালি কোনোভাবেই উপস্থিত হতে দেখা যায়নি মুকুল রায়কে। একই ভাবে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যার জেরে ফের একবার তৈরি হলো জল্পনা। তবে কি বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন মুকুল?
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য পরিষ্কার জানিয়েছেন, তার এক আত্মীয়ের শরীর খারাপ আর সেই কারণেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে মুকুলের বক্তব্য অবশ্য জল্পনার বারুদে অগ্নিসংযোগ করেছে। তিনি জানান, “আমাকে কেউ বৈঠকের বিষয়ে জানাননি। আমি এখন এ সবের মধ্যে নেই। নিজের যন্ত্রণায় জ্বলছি।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ষিয়ান নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কয়েকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ। এখন তিনি রয়েছেন ভেন্টিলেশনে। এর আগে তাকে দেখতে যান তৃণমূলের বর্তমান সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। আর তারপর থেকেই নতুন করে আরো একবার কানাঘুষো চলছে তবে কি রায় পরিবারের দলবদল শুধু সময়ের অপেক্ষা?
মুকুল রায়কে বিজেপির বৈঠকের কথা কেউ জানায়নি এই তথ্য ছিল রীতিমতো বিস্ফোরক। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। যদিও জল্পনা উড়িয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, “মুকুলবাবুর স্ত্রী অত্যন্ত অসুস্থ। ওনারা বর্তমানে সমস্যার মধ্যে রয়েছেন।” অর্থাৎ মুকুল রায়ের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছে একথা মানতে নারাজ তিনি।