বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একের পর এক কঠোর আইন আসে, বলবৎ হয় শাস্তিও। তবুও কমছে না মানুষের নৃশংসতা। ঘটে চলেছে একের পর এক হাথরাস, কামদুনি। নৃশংসতার শিকার হচ্ছেন কত কত নির্ভায়া, তাপসী মালিকরা। ফের একবার নির্মমতার চরম সাক্ষী থাকলো মালদহ। আদিবাসী কিশোরীর গণধর্ষণের খবর শুনে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মা।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, রাতে বিয়ে বাড়ি থেকে বোনের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন মালদহের মঙ্গলপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই আদিবাসী কিশোরী। সে সময় হঠাৎই মোটর বাইকে করে এসে চারজন ঘিরে ধরে তাদের। জোর করে তাদের এলাকারই একটি পুকুর পাড়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। আর তারপর শুরু হয় পাশবিক অত্যাচার। বড় বোনকে জোর করে ধর্ষণ করে দুই বাইক আরোহী। ছোট বোনটিকেও যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। কিন্তু ততক্ষণে বাইকে চেপে চম্পট দিয়েছে ওই চার ধর্ষক। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই এলাকায় পৌঁছায় হাবিবপুর থানার পুলিশ। মেডিকেল টেস্টের জন্য মেয়েটিকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। খবর অনুযায়ী ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে।
এদিকে বাড়িতে খবর পৌঁছাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই নির্যাতিতার মা। প্রথমে তাকে স্থানীয় বুলবুলচন্ডী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানান তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলেও তার প্রাণ বাঁচানো যায়নি। চার অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির দাবি করেছে ওই নির্যাতিতা। এক নির্যাতিতা এও বলেন যে, ওদের দেখলেই চিনতে পারব।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, চার জনকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে একজন অভিযুক্ত। বাকিদের খোঁজে আপাতত তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মালদহের পুলিশ সুপার অলক রাজোরিয়া জানান, “এটি একটি গণধর্ষণের ঘটনা। বড়বোনকে ২টি ছেলে ধর্ষণ করেছে। ছোট মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে। ওই কাণ্ডে মোট ৫ জন যুক্ত ছিল বলে জানতে পেরেছি।”