বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত ৯ জুন পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় দুই কুখ্যাত অপরাধী জয়পাল ভূল্লার এবং যশপ্রীত জসসির। না কাশ্মীর কিম্বা শ্রীনগর নয়, নয় কোন মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাও। ভরদুপুরে গুলির লড়াই দেখেছিল খোদ কলকাতা। উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টারের ঘটনা আকছার ঘটলেও সাম্প্রতিক অতীতে কলকাতায় তেমন দেখা যায়নি। কিন্তু এদিন খোদ কলকাতার নিউটাউন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে এই দুই কুখ্যাত পাঞ্জাবি দুষ্কৃতীর। ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই অভিযুক্ত।
চলতি মাসের ৬ তারিখ বীরভূম থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। আর সেখান থেকেই খবর মেলে এই দুই পাঞ্জাবি গ্যাংস্টারের। এসটিএফ জানতে পারে কলকাতার নিউটাউনে সুপার জি আবাসনে গা-ঢাকা দিয়ে রয়েছে ওই দুই দুষ্কৃতী। এরপর দশ-বারোজন অস্ত্রধারী পুলিশের একটি দল এসে পৌঁছায় আবাসনে। পুলিশকে দেখেই গুলি ছুঁড়তে শুরু করেন দুষ্কৃতীরা। পাল্টা জবাব দেয় এসটিএফও। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলেই নিহত হন দুই দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে এর আগে প্রায় ৫০ টি নাশকতামূলক মামলা জড়িয়ে রয়েছে তাদের নামে। এই অপরাধ থেকে বাঁচতেই কলকাতায় এসে গা ঢাকা দিয়েছিল তারা।
এখন প্রশ্ন হলো, জনবহুল কলকাতায় এভাবে এতদিন গা ঢাকা দিয়ে রইলেন কি করে এই দুই দুষ্কৃতী? সেই প্রশ্নই এবার তুলেলেন বিজেপি সংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। তার মতে, যে ফ্ল্যাটটিতে এই দুই দুষ্কৃতী আশ্রয় নেয় তা আসলে একজন বাংলাদেশীর। বাংলাদেশী এই মালিককেও তদন্তের মধ্যে আনা দরকার বলে মনে করেন তিনি। শুধু তাই নয় এদিন চিঠি লিখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এনআইএ তদন্তের দাবি জানান বিজেপি সাংসদ। তার মতে, তিনি তার সূত্র থেকে খবর পেয়েছেন এই ঘটনায় বাংলাদেশি যোগ রয়েছে। তাই এনআইএর তদন্তে সব বিষয়টি সামনে আসা একান্ত জরুরী।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে দিল্লিতেই রয়েছেন বিজেপি সাংসদ। আর সেখান থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উদ্দেশ্যে চিঠি লেখেন তিনি। যদিও এই মামলায় বিদেশি যোগ এই প্রথম নয়। লুধিয়ানার পুলিশ আধিকারিকরা এও জানিয়েছিলেন যে এ ঘটনার সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের যোগের কথা খতিয়ে দেখছেন তারা। কারণ এই দুই দুষ্কৃতী যুক্ত ছিল হেরোইন এবং অন্যান্য মারাত্মক মাদক পাচারেও। আর সেই কারণেই তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করেছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
এবার এই কান্ডে যুক্ত হলো একটি বাংলাদেশি যোগসূত্র। যদিও সৌমিত্র বাবু জানিয়েছেন, তিনি এই খবর পেয়েছেন তার সূত্র মারফত। তাই আরো ভালো করে এর তদন্ত প্রয়োজন। এর আগেও রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছে এনআইএ। একাধিক মামলায় সাফল্যও লাভ করেছে তারা। এখন আগামী দিনে এনআইএ কে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় কিনা সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।