বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভ্যাকসিন তৈরির পরই গোটা দেশে সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র সরকার। এরপর বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীদের চাপে পড়ে ভ্যাকসিন নীতিতে কিছুটা বদল আনে কেন্দ্র। মোদী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, যেসব রাজ্য নিজেদের ইচ্ছেমতো ভ্যাকসিন নিতে চায়, তাঁরা এবার থেকে সরাসরি ভ্যাকসিন নির্মাতা কোম্পানির থেকে কিনতে পারবে। এমনকি বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি দিয়েছিল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর এরজন্য তিনি বারবার কেন্দ্রের কাছে ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি চেয়েছিলেন। কেন্দ্রও শেষে ভ্যাকসিন কেনার অনুমতি দেয়। আরেকদিকে, কেন্দ্রের বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়াও চলতে থাকে। তবে দেশে ভ্যাকসিনের উৎপাদন কম হওয়ায় কেন্দ্র আর রাজ্য দুই সরকারই প্রয়োজনের তুলনায় কম ভ্যাকসিন পেতে থাকে। এই নিয়েও বারবার সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ভ্যাকসিন নিয়ে আবারও কেন্দ্রকে দোষারোপ শুরু করে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি করতে থাকেন। যদিও, এরমধ্যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউটকে ২৬ লক্ষ ডোজের জন্য ৭০ কোটি টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। কিন্তু কিছুদিন আগে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন যে, এখন থেকে আর রাজ্যগুলিকে আলাদা করে ভ্যাকসিন কিনতে হবে না। কেন্দ্র নিজে ভ্যাকসিন কিনে রাজ্যগুলিকে বণ্টন করবে।
কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সেরামকে দেওয়া অগ্রিম ৭০ কোটি টাকা ফেরত চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বুধবার রাজ্যের তরফ থেকে সেরাম ইনস্টিটিউটকে অগ্রিম টাকা ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ দফতরের এক আধিকারিকের মতে, ‘বর্তমানে রাজ্যের কোষাগারের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। আর এই সময়ে অগ্রিম বাবদ দেওয়া টাকা ফেরত পেলে, রাজ্যের অনেক উপকার হবে।” তবে কবে এই টাকা পাওয়া যাবে, সেটা জানা যায়নি।