বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিবেশীর পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ততখানি মধুর না হলেও আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কয়েক দশক ধরেই যথেষ্ট ভালো। সেই সূত্র ধরে আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইকেও সমর্থন দিয়েছে ভারত। কিন্তু এবার আফগানিস্তানেরই একটি প্রথিতযশা টিভি চ্যানেলে বসে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে বড় মন্তব্য করে বসলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি। কৌশলে আফগানিস্তানের উপর থেকে ভারতের প্রভাব কমানোর জন্য আফগানিস্তানকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি। আফগানিস্তান থেকে এই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে ন্যাটো এবং মার্কিন সৈনিকরা দেশে ফিরে যাবেন সেই সূত্র ধরেই এই কৌশল অবলম্বন করার চেষ্টা করল পাকিস্তান।
আফগানিস্থানের প্রথিতযশা টিভি চ্যানেল টোলো নিউজের এক সাংবাদিককে একান্ত সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী কুরেশি। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তেমনভাবে কোন যুক্তিযুক্ত জবাব দিতে পারেননি তিনি। বরং তালিবান এবং ভারত প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে হয় তাকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী কুরেশিকে সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সুসম্পর্ক বজায় থাকলে পাকিস্তানের অসুবিধা কোথায়? এই প্রশ্নের কোন যুক্তিযুক্ত জবাব দিতে পারেননি কুরেশি। তিনি বলেন ভারত যদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের জমি ব্যবহার করে তাহলে এটা যুক্তিযুক্ত নয়। কিন্তু কেন আফগানিস্তান ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবে না সেক্ষেত্রে কোন যুক্তিযুক্ত জবাব দেননি তিনি।
گفتگوی ویژه با شاه محمود قریشی وزیر امور خارجه پاکستان — فرداشب ساعت ۹ از طلوع و طلوع نیوز
این نشرات در https://t.co/1z8g9dTCpG نیز قابل دسترس است. pic.twitter.com/mo3E5cGtyy
— TOLOnews (@TOLOnews) June 18, 2021
এমনকি তালিবান প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে। সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, হায়বাতুল্লাহ আখুন্দজাদা, মোল্লা ইয়াকুব বা সিরাজউদ্দিন হাক্কানীর মত তালিবানি নেতারা কি পাকিস্তানে ছিলেন না? এ প্রসঙ্গে ও সঠিক কোনো জবাব দিতে পারেননি কুরেশি। বরং তিনি বলেন আফগানিস্তান সরকারকে জিজ্ঞেস করুন। এরপরেও কার্যত ফের অস্বস্তিতে পড়তে হয় কুরেশিকে। কারণ প্রতিবেদক বলেন, তালিবানি নেতা শেখ আবদুল হাকিম তো পরিষ্কার জানিয়েছিলেন তিনি পাকিস্থানে ছিলেন। এ প্রসঙ্গেও জবাব দিতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয় কুরেশিকে। তিনি বলেন এ বিষয়ে তার জানা নেই। এমনকি তালিবানরাও আফগানিস্তানের শান্তি চায় বলেই দাবি করেন কুরেশি।
ইতিমধ্যেই মারাত্মকভাবে ভাইরাল হতে শুরু করেছে এই ভিডিওটি। টুইটারে বেশকিছু ক্লিপ শেয়ার করেছে টোলো নিউজ। এমনকি এই ইন্টারভিউটি শেয়ার করে টুইট করেন, আফগানিস্তানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ। সব মিলিয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি যে ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়লেন তা বলাই বাহুল্য।