অবশেষে গাজিয়াবাদ দাড়ি কাণ্ডে গ্রেফতার উম্মেদ পেহেলওয়ান, দাঙ্গার উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে দাড়ি কাণ্ডকে ইস্যু বানিয়ে দাঙ্গা ছড়ানোর চেষ্টা করায় অভিযুক্ত সমাজবাদী পার্টির নেতা উম্মেদ পেহেলওয়ানকে (Ummed Pahalwan) পুলিশ দিল্লীর LNJP হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত উম্মেদ বেশ কয়েকদিন ধরে পলাতক ছিল। গাজিয়াবাদ পুলিশ উম্মেদকে প্রথমে লোনি থানায় নিয়ে যাবে। সেখানে তাঁর মেডিক্যাল করানো হবে। কিছুদিন ধরেই গাজিয়াবাদ পুলিশ উম্মেদকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল। অবশেষে তাঁকে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

উম্মেদ পেহেলওয়ান পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ফোনের সুইচ অফ করে দেয় আর সিম ফেলে দেয়। এরপর সে বাড়ির সদস্য এবং পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ইন্টারনেট কলিংয়ের ব্যবহার করে। গাজিয়াবাদের এসএসপি জানান, উম্মেদকে দিল্লীর এলএনজিপি হাসপাতালের পাশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে তাঁর মেডিক্যাল করানো হবে, এরপর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হবে।

বলে দিই, কয়েকদিন আগে কয়েকজন যুবক ‘আশ্চর্য তাবিজ” এর চক্করে বৃদ্ধ আবদুল সামাদকে ধরে মারধোর করে। এরপর তাঁর দাড়িও কেটে নেয় তাঁরা। এই ঘটনার পরই সমাজবাদী পার্টির নেতা উম্মেদ পেহেলওয়ান আবদুল সামাদকে পাশে বসিয়ে প্রায় ২৪ মিনিট ফেসবুক লাইভ করে এবং সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করে।

ফেসবুক লাইভে আবদুল সামাদ বলেন, তাঁকে ‘জয় শ্রী রাম” বলতে বাধ্য করা হয়েছিল আর তাঁকে মারধোর করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে জানা যায় যে, আবদুল সামাদকে মারধোর করা যুবকরা একটি চমৎকারী তাবিজের জন্য এই কাণ্ড করেছিল। আর অভিযুক্তদের মধ্যে হিন্দু-মুসলিম উভয় পক্ষেরই লোক ছিল। ইউপি প্রশাসন এই ঘটনাটিকে ইস্যু করে সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়ার প্রচেষ্টা করা মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছিল।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর