বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অসমের (Assam) হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma) শনিবার জানিয়েছেন যে, অসম সরকার দ্বারা রাজ্যে অর্থায়িত বিশেষ পরিকল্পনার সুবিধাভোগের জন্যে পর্যায়ক্রমে ‘দুই সন্তান নীতি” লাগু করবে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নীতি অসমের সমস্ত প্রকল্পে এখনই লাগু করা যাবে যা, কারণ কিছু প্রকল্প কেন্দ্র সরকার দ্বারাও চালনা করা হয়।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, কিছু এমন প্রকল্প আছে যেখানে আমরা দুই সন্তান নীতি লাগু করতে পারব না। তিনি উদাহরণ স্বরূপ স্কুল আর কলেজে বিনামূল্যে শিক্ষা অথবা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা অনুযায়ী বাড়িঘর পাওয়া। কিন্তু কিছু প্রকল্প, যেমন অসম সরকার আবাস যোজনা চালু করলে দুই সন্তান নীতি লাগু করা যেতে পারে। ধীরে ধীরে রাজ্য সরকারের প্রতিটি প্রকল্পেই এই নীতি লাগু হবে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজের পরিবারকে নিশানা করার জন্য বিরোধীদের একহাতে নিয়েছেন। বলে দিই, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা নিজেই পাঁচ ভাইয়ের পরিবারের সদস্য। তিনি বলেছেন, ‘১৯৭০-র দশকে আমাদের আমাদের মা-বাবা অথবা অন্যরা কী করেছেন, সেটা নিয়ে এখন কথা বলার কোনও যুক্তি নেই। বিরোধীরা এখন আমাদের ৭০-র দশকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।” গত মাসে অসমের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সরকারি যোজনার সুবিধা নেওয়ার জন্য দুই সন্তান নীতি আপন করার পরামর্শ দিচ্ছে সবাইকে।
বলে দিই, অসমে ২০১৮ সালে ‘অসম পঞ্চায়েত নির্বাচন আইন ১৯৯৪” এ সংশোধন করে পঞ্চায়েত নির্বাচন লড়ার জন্য নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা আর বাড়িতে শৌচালয়ের পাশাপাশি দুই সন্তানের মানদণ্ড স্থির করেছিল। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এও বলেন যে, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রধান তথা সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল মহিলাদের শিক্ষা প্রদানের প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন যা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বদরুদ্দিন আজমল আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহিলাদের শিক্ষার জন্য আমাদের তরফ থেকে চালু করা প্রকল্পের প্রশংসা করেছেন।”
এছাড়াও, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যে দারিদ্রতা কম করার জন্য সংখ্যালঘুদের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি এও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, ওনার সরকার মন্দির, বনভূমি সহ কোথাও জমি দখল বরদাস্ত করবে না। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ৩০ দিন পূর্ণ করার পর তিনি এই বার্তা দেন। হিমন্ত বিশ্বশর্মা রাজ্যের সংখ্যালঘুদের আবেদন করে বলেছেন যে, তাঁরা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেন পরিবার নিয়োজন নীতি আপন করে। তিনি বলেন, দারিদ্রতার প্রধান কারণ হচ্ছে বেড়ে চলে জনসংখ্যা। আর এই কারণে সবাইকে এগিয়ে এসে এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারের সমর্থন করা উচিৎ।