বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা আবহে অনলাইন মাধ্যমেই বর্তমানে পঠনপাঠন প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। এখন ঘরে বসেই পড়ুয়ারা অনলাইনের মাধ্যমেই, তাঁদের পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর এই পড়াশুনার ক্ষেত্রে সবথেকে কার্যকারী উপাদান হল ইন্টারনেট ব্যাবস্থা। কিন্তু কর্ণাটকের (karnataka) দক্ষিণ কন্নড় জেলার সুলিয়া তালুকের প্রত্যন্ত বল্লাকা গ্রামে ইন্টারনেটের পরিষেবা খারাপ থাকায় এক আবেগঘন মুহূর্তের ভাইরাল ছবি (viral photo) নেটদুনিয়ায় প্রকাশ পেল।
বিষয়টা হল, এই গ্রামেরই নারায়ণবাবুর মেয়ে অনলাইনে এসএসএলসি-র পড়াশুনা করছেন। কিন্তু সমস্যাটা হল তাঁদের বাড়ি থেকে ভালোভাবে ইন্টারনেটের পরিষেবা পাওয়া যায় না। যার ফলে পড়াশুনায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে, সেই কারণে প্রতিদিনই বাধ্য হয়ে রাস্তার ধারে এসে পড়াশুনা করতে হয় ওই ছাত্রীকে।
https://twitter.com/susantananda3/status/1406486743763669001
সুলিয়ার সাংবাদিক মহেশ পুচ্চাপাডি জানিয়েছেন, বাড়িতে ইন্টারনেট পরিষেবা খারাপ থাকার কারণে প্রতিদিনই বিকেল চারটে নাগাদ বাবা এবং মেয়ে রাস্তার ধারে পড়াশুনার জন্য চলে আসেন। মেয়ের পাশে তাঁর বাবাও বসে থাকেন। এটাই এদের প্রতিদিনকার রুটিন।
তবে বর্তমান সময়ে ভারী বর্ষণের কারণে মেয়ের পড়াশুনায় যাতে কোন সমস্যা না হয়, সেজন্য রাস্তার মঝে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মেয়ের মাথায় ছাতা ধরে দাঁড়িয়ে থাকেন বাবা নারায়ণ। সেই দৃশ্যের ছবি সাংবাদিক মহেশ তুলতেই, তা স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, অনলাইন ক্লাস করতে অন্তত 3g নেট পরিষেবার প্রয়োজন হয়। আর এখানেকার স্থানীয় পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা বিএসএনএল নেটওয়ার্ক। যার ফলে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয় এই গ্রামের পড়ুয়াদের। তবে স্যোশাল মিডিয়ায় বাবা মেয়ের এই ছবি ভাইরাল হতেই নেটিজনদের মত- ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও কর্মসূচীর যর্থাথ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডার হলেন এই বাবা’।