বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২ মে ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির অনেক নেতারই মোহভঙ্গ হয়েছে। অনেকেই প্রকাশ্যে দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আবার কয়েকজন ইতিমধ্যে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগও দিয়ে দিয়েছেন। দলত্যাগীদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখ্যযোগ্য নাম হল মুকুল রায়। তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বড়সড় ভাঙন দেখা গিয়েছে। সোমবার সেই ক্রমেই আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি দলবদল নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়াও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অনেক বিজেপি নেতাই বেসুরো গাওয়া শুরু করেছেন।
এবার সেই বেসুরোদের তালিকায় নাম লেখালেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক (Rajkamal Pathak)। আলিপুরদুয়ারের বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দলবদল নিয়ে তিনি বিজেপির শীর্ষ নেতাদের বিঁধে জল্পনার সৃষ্টি করেছেন। রাজকমলবাবু বলেন, ‘গঙ্গাপ্রসাদের নেতৃত্বে বিজেপি গত বিধানসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার সাতের মধ্যে সাতটি আসনই দখল করেছিল। উনি অনেক পুরনো নেতা। উনি কেন দল ছাড়লেন, সেটা নিয়ে আমাদের সবার ভাবা উচিৎ।”
সোমবার আলিপুরদুয়ারের সাতজন নেতাকে বিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন গঙ্গাপ্রসাদবাবু। তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি আলিপুরদুয়ারে ভালো ফল করার পরেও কেন দলত্যাগ করলাম সেটা সবার জানা উচিৎ।” গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আলিপুরদুয়ারকে বাদের তালিকায় রেখে কাজ করছিল বিজেপি। কলকাতার নেতাদের দিল্লীতে নিয়ে গিয়ে যোগদান করানো হচ্ছিল, আরেকদিকে জেলাগুলোকে যোগ্যই মনে করা হচ্ছিল না। তখন থেকেই দলের সঙ্গে দুরত্ব সৃষ্টি হয় আমার।”
গঙ্গাপ্রসাদবাবু বলেন, ‘নির্বাচনের সময় দল ছেড়ে গদ্দারি করিনি। সব আসনে দলকে জিতিয়ে দিয়েছি। তবে আমি নির্বাচনের সময় থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম।” গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ওনার দলত্যাগে সমস্যা হবে না। আমরা আমাদের কাজ করে যাব।