বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের মুরাদনগরের একটি প্রাচীন শনি মন্দির চত্বরে বসে মদ-মাংস খাওয়ার বিরোধিতা করায় মন্দিরের সেবাদারদের উপর হামলা হয়। অভিযুক্তরা একজন সেবাদারকে লোহার রোড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করে। আর দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। হত্যার এই নৃশংস ঘটনা মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যায়। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
প্রাচীন শনি মন্দিরের পুরোহিত মুকেশ গোস্বামী বলেন, মন্দির চত্বরেই সেবাদাররা থাকতেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুজো করার পর মুকেশ গোস্বামী বাড়ি চলে যান। এরপর সেখানে দেবেন্দ্র, পুরোহিত বিনোদ আর প্রবীণ কুমার ছিলেন। এরপর রাত প্রায় ১১ টা নাগাদ মন্দিরের মহিলা ঘাটে তিনজন যুবক বসে বসে মদ আর মাংস খাচ্ছিল। সেই খবর কানে যেতেই দেবেন্দ্র, প্রবীণ আর বিনোদ সেখানে পৌঁছায়। আর তাঁরা ওই তিন যুবককে সেখানে বসে মদ খাওয়ার থেকে বারণ করেন। বারণ করার পরই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে আর হাতাহাতি শুরু হয়।
মন্দির চত্বর থেকে বেরিয়ে দুই পক্ষই বাইরে রাস্তায় চলে আসে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, এরপরই অভিযুক্তরা মন্দিরের তিন সেবাদারদের উপর লাঠি-লোহার রড নিয়ে চড়াও হয়। প্রায় ২০ মিনিট তাঁদের মারধোর করা হয়। তিনজনই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যায়। যদিও, এরপরেও হামলাকারীরা তাঁদের উপর হামলা করতে থাকে।
হামলার পর অভিযুক্তরা বাইক নিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেতেই পুরোহিত মুকেশ গোস্বামীকে নিয়ে মন্দিরে পৌঁছায় পুলিশ। তিনজন সেবাদারকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থা শোচনীয় হওয়ার পর তাঁদের গাজিয়াবাদে রেফার করে দেওয়া হয়। সেখানে প্রবীণকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আর দেবেন্দ্রকে দিল্লীতে রেফার করা হয়। বিনোদ কুমারকে গাজিয়াবাদের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও মন্দিরের সিসিটিভিতে কয়েদ হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ জানায়, মৃতের দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে আর অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।