কারচুপি করে হারানোর অভিযোগ তুলে পুনর্গণনার দাবি নিয়ে হাইকোর্টে বিজেপির ৮ প্রার্থী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পর এবার কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে (Kalyan Chaubey)। তাঁর দাবী, ভোট গণনায় কারচুপি করা হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল স্পষ্ট করে ঘোষণা করা হয়নি। সুতরাং পুনর্গণনার প্রয়োজন।

একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বাংলার মসনদে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেও, নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রার্থীর শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরাজিত হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করায়, হিসেব মত তাঁকে আবার উপনির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হয়ে, নিজের আসন টিকিয়ে রাখতে হবে।

jhvvkbk

তবে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারছুপির অভিযোগ করেছিল তৃণমূল শিবির। সেই কারণে ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও বনগাঁ দক্ষিণের আলোরানি সরকার, হুগলির গোঘাটের মানস মজুমদার, বলরামপুরের শান্তিরাম মাহাতো এবং পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার সংগ্রাম কুমার দলুইও মামলা করেছিলেন আদালতে।

এবার মুখ্যমন্ত্রীর পথেই হাঁটলেন মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। পুনর্গণনার আর্জিতে কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘৩৩৬৩ ভোটে আমার থেকে এগিয়ে ছিলেন মানিকতলা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু চূড়ান্ত ফলপ্রকাশের সময় দেখা যায় প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জিতে গেছেন তিনি। এত ব্যাবধান কিভাবে হল? তাই পুনর্গণনার দাবিতে আমরা ৮ জন বিজেপি প্রার্থী হাইকোর্টে মামলা করেছি। এর মধ্যে দুটি মামলার শুনানি করা হবে সোমবার’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর