বর্ধমানে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর মোড়, দুর্নীতির বিরোধিতা করায় প্রাণ গিয়েছে অসীমবাবুর! দাবি পরিবারের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি। সোমবার কাশেমবাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল নেতা অসীম দাস। সেই সময় দুষ্কৃতীরা তাঁর বাইক থামিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। গুলির শব্দ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তাঁরা তৎক্ষণাৎ অসীম দাসকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা ওনাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত আছে বলে অভিযোগ করেছে। মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী এই ঘটনার জন্য বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করেছেন। তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি করে খুন করার ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা অসীম দাসের খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। আরেকদিকে, বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল পুলিশ এই খুনের কিনারা করার সময়ও বেঁধে দেন।

তবে ঘটনার পরই এই কাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। নিহত তৃণমূল নেতা অসীম দাসের পরিবারের দাবি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ার তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলেছে তৃণমূলের নেতারাই। নিহত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পরিবার এই ঘটনার পিছনে বিজেপির হাত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করেছে।

তৃণমূল নেতা অসীম দাসের পরিবার অভিযোগ করে বলেছেন যে, বরাবরই দলের দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলতেন অসীমবাবু। আর এই কারণে তৃণমূলের অনেকেই চাইত না যে তিনি দলে থাকুন। এর আগেও দু’বার ওনার উপরে হামলা হয়েছে। এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। এবার তাঁরা খুনই করে দিয়েছে অসীম দাসকে।

আরেকদিকে, অসীম দাসের খুনের কিনারা করতে সিট গঠন করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, ওই সিটে ৬ জন সদস্য থাকবেন। তাঁরাই এবার খুনের রহস্য ভেদ করবে। পাঁচ জনকে জেরাও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে পাঁচ সদস্যের সিআইডি দল পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন। এরপরই খুনের কিনারা করতে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিমের গঠন করা হয়েছে।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর