বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতায় বুধবার এক পাকিস্তানি মহিলাকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী পাকিস্তানি মহিলার স্বামী কাইসারকে স্পুটনিক V-র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর আগে কাইসার অভিযোগ করেছিলেন যে কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তাঁকে টিকা দিতে অস্বীকার করেছিল। কাইসার জানায়, ৯ জুলাই স্পুটনিক V-র টিকা নেওয়ার জন্য সে মেডিকা হাসপাতালে গিয়েছিল। সেখানে দেড় ঘণ্টার বেশী সময় ধরে তাঁর কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হয়। এরপরেও তাঁকে টিকা দেওয়া হয়নি। কাগজপত্র ঠিক না থাকার কারণে তাঁকে টিকাকেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি মহিলা নিজের পাসপোর্টের মাধ্যমে কো-উইন অ্যাপে ভ্যাকসিনের বুকিং করেছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে টিকা দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। বেসরকারি হাসপাতাল তাঁকে জানায় যে, বিদেশী নথিতে তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়ার অনুমতি নেই। আর এই কারণে তাঁকে টিকা দেওয়া যাবে না।
টিকা পাওয়ার পর পাকিস্তানি মহিলা বলেন, এখন আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছি। করোনার ভ্যাকসিন না পাওয়ার ফলে চারিদিকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। ভ্যাকসিন নেওয়ার পর এবার আমারি পরিবারও খুশি। আমরা সবাই সুরক্ষিত। কারণ একজন অসুরক্ষিত হলে, গোটা সমাজ অসুরক্ষিত হয়ে পড়ে এই করোনাকালে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পাকিস্তানি মহিলা সহরের বিয়ে এক ভারতীয়র সঙ্গে হয়েছিল। এখন সে কলকাতায় রেসিডেন্ট ভিসা নিয়ে থাকে। প্রতি দুই বছরে তাঁকে ভিসা রিনিউ করতে হয়। নিয়ম অনুযায়ী, ভারতে ১০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরই সে ভারতীয় নাগরিকতার জন্য আবেদন করতে পারবে।