বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় উপনির্বাচন করানোর জন্য প্রস্তুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে, বাংলায় এখন করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, তাই নির্বাচন কমিশন সাত দিনের নোটিশে উপনির্বাচন করাতে পারে। যদিও, ওনার এই আবেদনের পরেও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে কোনও উচ্চবাচ্চ করা হয়নি। আর আজ আবার তিনি রাজ্যে উপ নির্বাচন করানোর জন্য কমিশনের উপর চাপ সৃষ্টি করলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলায় করোনা সংক্রমণের হার একদমই কম।
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে উপনির্বাচন না হওয়ার জন্য বিজেপিকে নিশানা করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি গতকাল ভবানীপুরের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখছিলাম। আমি দেখতে পেরেছি যে, সেখানে অনেক জায়গায় কোভিড একেবারে শূন্য। পুরো জিরো, জিরো, জিরো। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যসভার দুটো আসনে নির্বাচন করানো নিয়ে আমাদের মতামত চেয়েছিল কমিশন। রাজ্যের তরফ থেকে মুখ্যসচিব জানিয়েছিলেন যে, আমরা তৈরি আছি। রাজ্যসভার দুটি আসনের পাশাপাশি বিধানসভাগুলিতে উপনির্বাচন করানোর জন্য আমরা প্রস্তুত।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের নিয়ম মাফিক ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হবে। আমরাও তাই চাইছি। কিন্তু উপনির্বাচন করানোর বিরোধিতা করছে বিজেপি। কারণ ওঁরা হারার ভয় পাচ্ছে। বারবার ইলেকশনে হেরে যায় তো।
একদিকে, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে যেমন উপনির্বাচন করানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। আরেকদিকে, বিজেপিও তখন রাজ্য থেকে কার্যত লকডাউন তুলে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছে। বিজেপির মতে, মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করাতে চাইছেন কিন্তু রাজ্য থেকে লকডাউন তুলতে চাইছেন না। তিনি ট্রেন বন্ধ করে নির্বাচন করাতে চাইছেন।
বিজেপির মতে, উপনির্বাচনের কথা উঠলেই মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু লকডাউন তুলে ট্রেন চালানোর কথা বললেই তিনি বলেন, এখন ট্রেন চললে দুনিয়ার লোকের কোভিড হবে, তখন দায় কে নেবে? মুখ্যমন্ত্রী নিজের স্বার্থে উপনির্বাচন করাতে চান, কিন্তু মানুষের স্বার্থে লোকাল ট্রেন চালাতে চান না। কেন এমন দ্বিচারিতা?