বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মাথাচড়া দিতেই বন্ধ করা হয়েছিল ট্রেনের (tarin) চাকা। করোনা বিধি নিষেধ মান্য করে রাজ্যে রেল চলাচল বন্ধ থাকলেও, চালু রাখা হয়েছিল কয়েকটিমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন। তবে বর্তমান সময়ে করোনা আবহ কিছুটা শিথিল হয়ে, প্রায় সব ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হলেও, এখনও অবধি বন্ধ রয়েছে স্বাবাভিক রেল চলাচল।
যাত্রীদের এই ‘লাইফলাইন’ বন্ধ থাকায়, বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে আবার, কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার কারণে নিয়ম ভেঙ্গেই এই স্টাফ স্পেশাল ট্রেন উঠে পড়ছেন বহু মানুষ। যার ফলে রীতিমত উপছে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে ট্রেনগুলোতে।
এইভাবে চলতে চলতে নিত্যাযাত্রিদের সঙ্গে কখনও কখনও আবার বচসায়ও জড়িয়ে পড়ছেন রেলের কর্মীরা। তাঁদের দাবি, এভাবে ভিড় বাড়তে থাকায়, আরও বিপদে পড়তে হচ্ছে অনেককেই। সঠিক সময়ে নিজের গন্তব্যে অনেকেই পৌঁছাতে পারছেন না। যার ফলে আবারও অর্থসংকটে পড়তে হচ্ছে।
তবে প্রায় দুমাস পর মেট্রোর দরজা খুলে দিতেই, দূরত্ব বিধি শিকেয় তুলে প্রথম দিনে উপছে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছিল। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে, ট্রেন চালু করলেও, সেখানে ভিড় সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রেন চালানোর প্রসঙ্গে একপায়ে রাজী রেল কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে এক রেল আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘আমাদের সমস্ত লোকাল ট্রেন নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে, আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। অন্যদিকে সরকার তো ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস খোলার কথা বলেছেন, সেক্ষেত্রে ধরে নেওয়া যায় ভিড় তুলনামূলক কমই হবে’। তবে ট্রেন চালাতে রাজী থাকলেও, ভিড় সামলানোর বিষয়টা রাজ্য সরকারের উপরই ছেড়ে দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।