লাগাতার ধর্ষণে গর্ভবতী অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, বোনের প্রাণ বাঁচাতে মুখ বুজে সহ্য করেছিল নির্যাতন

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুরে নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর এই কুকর্মের কথা ফাঁস করলে নাবালিকার ক্লাস থ্রিতে পড়া বোনকে খুনের হুমকিও দেয় সে। দিনের পর দিন ধর্ষণের পর অষ্টম শ্রেণীতে পড়া নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়লে, ঘটনাটি সবার নজরে আসে।

পেশায় গাড়ি চালক অভিযুক্ত পড়ানোর নাম করে অষ্টম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে বাড়িতে ডেকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে বলে জানা গিয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে মুখ খুললে নির্যাতিতার ছোট বোনকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় অভিযুক্ত। আর এই কারণেই নির্যাতিতা মুখ বুজে সব সহ্য করে।

প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, অভিযুক্ত যুবক প্রায় দিনই ওই নাবালিকাকে নিজের ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেত তাঁর মেয়েকে পড়ানোর নাম করে। আর সেখানেই তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত সে। গতকাল শনিবার নাবালিকার শারীরিক পরিবর্তন নজরে আসে তাঁর মায়ের। এরপর মেয়েকে মুখ খুলতে বাধ্য করেন তিনি। সেই সময় নির্যাতিতা সমস্ত বিষয় খুলে বলে। পাশাপাশি এও জানায় যে, এটা বললে অভিযুক্ত বাবলু ঢালি তাঁর ছোট বোনকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল।

নির্যাতিতার মা এই বিষয়ে পরিবারের বাকিদের জানান। তখনও সবাই মিলে বাবলুর বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়। অভিযুক্তকে বাড়ি থেকে বের করে বেধড়ক মারধর করে নির্যাতিতার পরিবার। খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই এলাকার মানুষ বাবলুকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে পেটায়।

বারুইপুর থানায় খবর দেওয়া হলে থানা থেকে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এরপর পুলিশকে মেডিক্যালের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নির্যাতিতা কয় মাসের গর্ভবতী সেটা মেডিক্যাল করার পরই জানা যাবে। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবার প্রশাসনের কাছে গর্ভপাতের আবেদনও করবে। অভিযুক্ত বাবলু ঢালির বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি খুনের হুমকি দেওয়ারও মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।