বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনে (China) যে মুসলিমদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেটা সবারই জানা। চীনের শিনজিয়াং (Xinjiang) প্রান্ত থেকে প্রায় দিনই উইঘুরদের (Uyghurs) উপরে অত্যাচারের কাহিনী উঠে আসে। আর এরই মধ্যে মুসলিমদের পবিত্র উৎসব ‘বকরি ঈদ” এর দিনে নামাজ পড়ার অপরাধে ১৭০ জন উইঘুর মুসলিমকে গ্রেফতার করার অভিযোগ উঠল চীনের বিরুদ্ধে। চীনের শিনজিয়াং প্রান্তের আইকোল টাউনশিপের আকসু শহর থেকে এই অত্যাচারের কাহিনী উঠে এসেছে।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, বকরি ঈদের দিনে ৫০ বছর বা তাঁর বেশি বয়সী উইঘুর মুসলিমদের নামাজ পড়ার অনুমতি দিয়েছিল চীনের প্রশাসন। ২০ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত উইঘুর মুসলিমদের ক্ষেত্রে এই ছাড় দেওয়া হয়েছিল। আর এরজন্য কয়েকটি মসজিদও খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে।
কিন্তু পবিত্র ঈদের দিনে নিজেদের আটকে রাখতে পারেনি ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। প্রশাসনের আইন অমান্য করে ৫০ বছরের কম বয়সী মুসলিমরা মসজিদে নামাজ পড়ছিল। আর সেই খবর প্রশাসনের কানে যেতেই, তাঁরা ধরপাকড় শুরু করে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মোট ১৭০ জন উইঘুর মুসলিমকে নিয়ম ভেঙে নামাজ পড়ার অপরাধে গ্রেফতার করে চীনা পুলিশ।
Police in China’s #Xinjiang region took in for questioning more than 170 #Uyghurs who attended prayer services without permission from authorities during the Muslim Eid al-Adha holy days, according to a senior police officer. https://t.co/qyHGRS7m4R
— Radio Free Asia (@RadioFreeAsia) July 30, 2021
জানিয়ে দিই, চীনের শিনজিয়াং প্রান্তে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি অত্যাচারের কাহিনী নতুন কিছু নয়। এর আগে চীনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিনজিয়াং প্রান্তের বহু মসজিদকে রাতারাতি শৌচাগার বানানোর অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এলাকার সৌন্দর্য বজায় রাখার জন্য মসজিদের সামনে বড়বড় প্রাচীর তোলারও অভিযোগ উঠেছিল চীনের বিরুদ্ধে।
এত অভিযোগ ওঠার পরেও চীন সরকার কোনোভাবেই তাঁদের দমন নীতি বন্ধ করেনি। এমনকি বিশ্ব মুসলিম দেশগুলি চীনের এই অত্যাচার নিয়ে কোনদিনও মুখই খোলেনি। মুসলিমদের বিরুদ্ধে অত্যাচার নিয়ে সর্বদা সরব হওয়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister Of Pakistan) ইমরান খান (Imran Khan) উইঘুর মুসলিমদের প্রতি চীনের অত্যাচারকে বেজিংয়ের অভ্যন্তরীণ মামলা বলেও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বারবার।