গৃহ পরিচারিকাদের ঘর পরিস্কার, কাপড় কাচার প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য সরকার! সব শেষে সার্টিফিকেট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ইঁদুর দৌড়ের জীবনে ব্যাস্ততা এখন সকলের জীবনের নিত্যসঙ্গী। সেইসাথে বাঙালির চিরকালীন যৌথ পরিবারের ঐতিহ্য ভেঙে গিয়ে এখন নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে শহর এবং শহরতলি সংলগ্ন এলাকায়। যার ফলে একদিকে সময় আর একদিকে সাহায্যের হাত, এই দুইয়ের অভাবের মানুষের জীবনের বেশীরভাগটাই এখন হয়ে উঠেছে যন্ত্র (Machine) নির্ভর ।

নিত্যনতুন যন্ত্রের ব্যবহারে ঘরের কাজও হয়ে উঠেছে এখন অনেক সহজ! কাপড় কাচার ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে মশলা বাটার মিক্সার-গ্রাইন্ডার হোক কিংবা ঘর সাফাই করার ভ্যাকিউম ক্লিনার থেকে শুরু করে খাবার গরম করার মাইক্রোওভেন সব কাজকেই এখন সহজ করে দিচ্ছে যন্ত্র। আর দিনে দিনে সকলের মধ্যেই বিশেষ করে শহরতলির মানুষের মধ্যে এসব অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে।

তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ঘরের কাজে সাহায্যকারী গৃহ পরিচারিকাদের অনেকেই এসব অত্যাধুনিক মেশিন চালাতে অভ্যস্ত নন। ফলে হঠাৎ করে এই ধরনের মেশিনে কাজ করতে তাদের নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি এই সব যন্ত্র চালাতে না পারার জন্য অনেকের হাতছাড়া হয়ে যায় হাতছাড়া হয়ে যায় হাতছাড়া হয়ে যায় কাজ। তাই শ্রম দফতরের (Labour Department) তরফ থেকে এই সমস্ত গৃহ পরিচারিকাদের রাজ্যজুড়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই গতকাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর-সোনারপুর পুরসভায় জয় হিন্দ প্রেক্ষাগৃহে পরিচারিকাদের দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে রাজ্যের শ্রম দপ্তর। এদিন এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, এছাড়া প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। পরীক্ষামূলক এই প্রশিক্ষণ শিবিরে ১০০ জন গৃহ পরিচারিকা যোগ দেন বলে জানিয়েছে শ্রম দপ্তর। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি জেলায় এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করা হবে বলে জানা গেছে।

তিন দিনের এই প্রশিক্ষণে রোজ ১২ ঘণ্টার ক্লাস হবে। সেই ক্লাসে ওয়াশিং মেশিন ,মিক্সার গ্রাইন্ডারের মতো যন্ত্রের ব্যবহার শেখানো হবে। এছাড়াও ব্যাঙ্কের প্রাথমিক কাজকর্ম, প্রাথমিক চিকিৎসা, আদবকায়দা, শিষ্টাচার সবই শেখানো হবে। কোর্স শেষে একটি সার্টিফিকেট দেওয়ার পাশাপাশি তিন দিন প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য সরকারের তরফে ২৫০ টাকা ভাতা দেওয়া হবে।

প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের নাম সরকারের তালিকাভুক্ত করা হবে। রাজ্যে সরকারি কর্মীদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক’ (Employment Bank) তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই এবার গৃহ পরিচারিকাদের নাম তোলা হবে। কেউ সরকারের মাধ্যমে বাড়িতে পরিচারিকা রাখতে চাইলে সেক্ষেত্রে তালিকাভুক্তরা সুবিধা পাবেন।

ad

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর