বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডে ফের নতুন সম্পর্ক শুরুর ইঙ্গিত। একের পর এক সম্পর্ক বিচ্ছেদের খবরের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন বন্ধুত্ব শুরুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এই তালিকায় আগেই নাম লিখিয়েছিলেন নুসরত জাহানের প্রাক্তন ‘স্বামী’ নিখিল জৈন (nikhil jain)। বাঙালি অভিনেত্রী ত্রিধা চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর নয়া সম্পর্কের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল বেশ কিছুদিন আগেই। দুজনেই সে গুঞ্জন উড়িয়ে দিলে এবার রাইমা সেনের (raima sen) সঙ্গে নিখিলের ‘বন্ধুত্ব’এর কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছে।
সম্প্রতি নিখিলের শেয়ার করা ছবিতে কমেন্ট করতে দেখা গিয়েছে রাইমাকে। ক্যালভিন ক্লেইনের টিশার্ট, চোখে সানগ্লাস ও হেয়ার জেল দিয়ে স্টাইল করা চুলে বেশ হ্যান্ডসাম লুকে ধরা দিয়েছেন নিখিল। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘সব সমস্যা থেকে আমার সাবস্ক্রিপশন বাতিল করছি’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘নতুন শুরু’, ‘কর্মা’র মতো কথা।
এই পোস্টেই কমেন্ট করেছেন রাইমা। একটি মাত্র কথা লিখেছেন তিনি ‘ব্যাক’। এতেই নেটমহলে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠেছে দুজনের মধ্যে কি নতুন বন্ধুত্ব শুরু হয়েছে? নিখিলের ব্র্যান্ড ‘রঙ্গোলি’র সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন তিনি? নাকি নেহাতই নিখিলকে কলকাতায় ফেরার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন? প্রশ্নের অন্ত নেই নেটপাড়ায়।
https://www.instagram.com/p/CSdzSKpr6jc/?utm_medium=copy_link
এর আগে কলকাতায় এসে নিখিলের সঙ্গে দেখা করার কথা স্বীকার করেছিলেন ত্রিধা। কফি খেতে খেতে আড্ডা দিয়েছেন তাঁরা। সেই স্কুলজীবন থেকে বন্ধু তাঁরা। নুসরত নিখিলের বিবাহ বিচ্ছেদে বড়সড় প্রভাব পড়েছে নিখিলের জীবনে। এই সময়টা নিখিলের পাশে থাকতে চান ত্রিধা। নিখিলকে মনের জোর যুগিয়েছেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে সম্পর্কের কথা সাফ অস্বীকার করেছিলেন দুজনেই।
উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই ছিল নুসরত নিখিলের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার দ্বিতীয় শুনানির তারিখ। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনেও হল না শুনানি। এবার শুনানির আগামী তারিখ দেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই দু পক্ষেরই। এদিন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী হওয়ার কথা ছিল শুনানি। কিন্তু না উপস্থিত ছিলেন বিচারক আর না গঠন হয়েছিল বেঞ্চ। ফলে খালি হতেই ফিরতে হয়েছে দু পক্ষকে। যদিও নিখিল বা নুসরত কেউই সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না এদিন।
নিখিল বলেন, যদি আদালত নির্দেশ দেয় তবে দু পক্ষই হাজিরা দিতে বাধ্য। কিন্তু নুসরত এখন সন্তানসম্ভবা। নিখিলের দাবি অনুযায়ী আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন তিনি। এমন অবস্থায় আদালতে হাজিরা দেওয়া কি সম্ভব হবে তাঁর পক্ষে? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর অবশ্য ছিল না নিখিল জৈনের কাছে।