বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আফগানিস্তানের (Afghanistan) পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠছে। তালিবানরা (Taliban) কাবুল দখল নেওয়ার পর, পরিস্থিতি ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে আফগান নাগরিকদের কাছে। এর আগেই দেখা গিয়েছিল প্রাণের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর জন্য, বিমান বন্দরে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বিমানে ওঠার জন্য চলছে ধাক্কাধাক্কি, মারপিট। আবার আকাশ পথে চলন্ত বিমান থেকে পড়ে যেতেও দেখা গিয়েছিল কয়েকজনকে।
তবে এবার এক অন্য আতঙ্ক গ্রাস করেছে আফগানবাসীকে। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মধ্যে ১৫ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের এবং ৪৫ বছরের কম বয়সি বিধবাদের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দিল তালিবানরা। স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের জারি করা এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই মেয়েদের তালিবানী যোদ্ধাদের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে, পাকিস্তানের উজিরিস্তানে নিয়ে গিয়ে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হবে।
পূর্বেই আফগানিস্তানের উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তখরে, নিজেদের ইসলামী আইনের সংস্করণ প্রয়োগ শুরু করেছিল তালিবানরা। সেখানে মহিলাদের একা বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে যেতে হলে, কোনো পুরুষের সঙ্গেই বেরোতে হবে। নাহলে প্রকাশ্যে মেয়েদের অপমানিত হতে হত। আর অন্যদিকে পুরুষদের দাড়ি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ঠিক ২০ বছর আগে মার্কিন সেনা মোতায়েনের পূর্বেকার নিয়ম আবারও ফিরিয়ে আনছে তালিবানরা।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতিতে আবারও মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়ে সংশয়ে রয়েছে সেদেশের নাগরিকরা। এবিষয়ে আফগান প্রবীণ হাজী রোজি বেগ জানিয়েছেন, ‘তালিবানদের হাতে দেশ চলে যাওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছি। নিজের বাড়িতেই জোর গলায় কথা বলতে পারছি না, শুক্রবারে মহিলাদের বাজারেও পাঠাতে পারছি না। পরিবারের সকলের বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছে তালিবানরা। আবার তালিবান সাব কমান্ডারের দাবি, ১৮ উর্দ্ধ মেয়েদের ঘরে রাখা পাপ, তাঁদের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে’।
বর্তমানে আফগানিস্তানের যা পরিস্থিতি তাতে করে, সাধারণ পুরুষ থেকে শুরু করে মহিলা, কেউই সুরক্ষিত নয়। প্রাণ ভয়ে পালিয়ে অন্যত্রও যেতে পারছেন না অনেকে। এর মধ্যে আবার ১৫ বছরের বেশি বয়সি মেয়েদের এবং ৪৫ বছরের কম বয়সি বিধবাদের তালিকা দেওয়ার নির্দেশ শুনে, আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সেখানার নাগরিকরা।