বাংলাহান্ট ডেস্ক: নবাব পতৌদি পরিবারকে নিয়ে বলিউডে কৌতূহলের অন্ত নেই। অভিজাত এই পরিবারে যেদিন থেকে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর (sharmila tagore) বউ হয়ে প্রবেশ করেছিলেন সেদিন থেকেই বিনোদন ইন্ডস্ট্রিতে অলিখিত ভাবে নাম জুড়ে যায় নবাব পরিবারের। আর এখন তো প্রায় গোটা পরিবারটাই ফিল্মি পরিবার হয়ে উঠেছে।
বলিউডি ছবিতে বৌমা শাশুড়ির সম্পর্কের বিভিন্ন দিক যেমন তুলে ধরা হয়, তেমনি বাস্তবেও বলিউড ইন্ডাস্ট্রির রিয়েল লাইফ শাশুড়ি বৌমাদের জুটি নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই নেটনাগরিকদের। এমনি এক জনপ্রিয় জুটি শর্মিলা ঠাকুর এবং করিনা কাপুর খানের (kareena kapoor khan)। দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকের মতে, দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নাকি তেমন ভাল নয়।
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সমস্ত গুজবের অবসান ঘটিয়েছেন সত্যজিৎ রায়ের নায়িকা। বৌমা করিনার ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরে ‘নাকউঁচু’ বলেই দুর্নাম রয়েছে বেবোর। কিন্তু শর্মিলার বক্তব্য, করিনা নাকি খুবই শান্তশিষ্ট, ধৈর্যশীল। যেভাবে পরিচারক, নিজের মেকআপ আর্টিস্ট বা হেয়ার ড্রেসারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, তাতে মুগ্ধ শর্মিলা।
তিনি বলেন, “আমিও মাঝে মাঝে মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করে বসি। যখন তাড়া থাকে আমার হেয়ারড্রেসারকে চিৎকার করে বলি, ‘জারা তাড়াতাড়ি করো’। কিন্তু করিনা কক্ষণো করেনি এমন।” বৌমার সংস্পর্শে এসে নাকি তিনি নিজেও শান্ত হয়ে যান বলে জানান শর্মিলা। করিনার আরো একটি গুণ খুবই পছন্দ তাঁর। আর সেটা হল কারোর সঙ্গে নিজেকে তুলনা না করে নিজের কাজটা করে যাওয়া। করিনাকে বৌমা হিসেবে পেয়ে খুব খুশি, জানালেন শর্মিলা।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে টাইগার ওরফে মনসুর আলি খান পতৌদি মারা যাওয়ার পরের বছরেই করিনাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সইফ। এতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন শর্মিলা। ছেলের দ্বিতীয় বিয়ের আগে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “এটা আমার জন্য নিঃসন্দেহে খুশির দিন কিন্তু আমি একটি পুরনো শাড়িই পড়বো। এতে অনেকে ভাবতে পারেন এই বিয়েতে আমার উৎসাহ নেই। কিন্তু ক্ষমা করবেন মাত্র এক বছর আগে আমি আমার স্বামীকে হারিয়েছি।”