পঞ্জশিরে বাড়ছে মাসুদের শক্তি, হেলিকপ্টারে করে হাতিয়ার নিয়ে পৌঁছল প্রাক্তন কম্যান্ডার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্জশির উপত্যকা (Panjshir Valley) আফগানিস্তানের (Afghanistan) সেই বাছাই করা কিছু এলাকার মধ্যে পড়ে, যেখানে এখনো তালিবানরা (Taliban) কবজা করতে পারেনি। সেখানকার বিদ্রোহীদের নেতৃত্ব দেওয়া আহমেদ মাসুদের (Ahmed Masood) যোদ্ধারা বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ন্যাশানাল রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে (নর্দান অ্যালায়েন্স) (Northern Alliance) হেলিকপ্টার করে হাতিয়ারের সাপ্লাইও দেওয়া হচ্ছে। উপরাষ্ট্রপতি অমরুল্লাহ সালেহও পঞ্জশিরে রয়েছেন। মাসুদ জানিয়েছেন যে, তাঁরা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তবে সমাধানের জন্য কথাবার্তা চালানো হয়, তাহলে সে প্রস্তুত।

সংবাদসংস্থা রয়টার্স অনুযায়ী, নর্দান অ্যালায়েন্স তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই লড়ার জন্য আরও মজবুত হয়েছে। আফগানি সেনার প্রাক্তন কম্যান্ডার পঞ্জশিরে পৌঁছে আহমেদ মাসুদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। প্রাক্তন কম্যান্ডার হেলিকপ্টারে করে নিজের সঙ্গী আর প্রচুর হাতিয়ারও নিয়ে পৌঁছেছেন।

তালিবান বিরোধী গোষ্ঠীর সাহায্যের জন্য প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি আহমেদ জিয়া মাসুদ আর নর্দান অ্যালায়েন্সের প্রাক্তন কম্যান্ডার অমানুল্লাহ গুলজার পঞ্জশির পৌঁছেছেন। তাঁদের সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রাক্তন কিছু সৈনিকও রয়েছে।

রয়াটার্স অনুযায়ী, আহমেদ জিয়া মাসুদ আর অমানুল্লাহ গুলজার নিজের সঙ্গীদের সঙ্গে তাজিকিস্তানের রাস্তা দিয়ে পঞ্জশির পৌঁছেছেন। তাজিকিস্তান থেকে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে হাতিয়ার আনা হয়েছে।

তালিবান পঞ্জশিরের আন্দরাব, বাঘলান সমেত কয়েকটি এলাকায় মাসুদ বাহিনীর কাছে কড়া জবাব পাচ্ছে। সোমবার আন্দরাবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫০ তালিবানি নিকেশ হয়েছিল। অন্যদিকে এর আগে নর্দার অ্যালায়েন্স বাঘলানে প্রায় ৩০০-র মতো তালিবানিকে নিকেশ করেছিল। যদিও, তালিবান তা অস্বীকার করেছে।

রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের মুখপাত্র আলি মৌসম নজারি সংবাদসংস্থা AFPকে জানিয়েছেন যে, ‘তালিবানদের বিরুদ্ধে ৯ হাজার জওয়ানের ফৌজ তৈরি করা হয়েছে। ওই ফৌজকে লাগাতার ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। আমাদের কাছে হাতিয়ার আর গাড়ি রয়েছে।” নজারি জানিয়েছেন, আমরা সরকার চালানোর জন্য নতুন ব্যবস্থা চাই আর এরজন্য কথাবার্তা বলতে রাজি। কিন্তু দরকার পড়লে আমরা যুদ্ধ থেকে পিছু হটব না।

অন্যদিকে তালিবানও পঞ্জশির মামলা শীঘ্রই সমাধানের পক্ষে রয়েছে। তাঁদের মতে পঞ্জশিরের যোদ্ধাদের শান্ত না করালে সরকার চালাতে সমস্যায় পড়তে হবে। তালিবানের বার্তাবাহকরা আহমেদ মাসুদকে সরকারে যুক্ত করানোর জন্য কথাবার্তা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর