বাংলাহান্ট ডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হারার পর থেকেই ভাঙন দেখা দিয়েছে বিজেপির (bjp) অভ্যন্তরে। বিশেষত তারকা কর্মীরা একে একে দল ছেড়ে তৃণমূলের প্রতি বদান্যতা দেখাচ্ছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। ভোটে হেরে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষনা করেন তিনি। রাজনীতি নিয়ে আপাতত মাথা না ঘামানোর কথা স্বীকার করেছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও।
দিন কয়েক আগেই স্রোতের উলটো দিকে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে বামে যোগ দিয়েছেন অনিন্দ্যপুলক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রূপা ভট্টাচার্য। এ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি রাজনৈতিক মহলে। এবার ফের বেসুরো হলেন বিজেপির তারকা কর্মী রিমঝিম মিত্র (rimjhim mitra)। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জল্পনা বাড়িয়েছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রিমঝিম বলেন, বিজেপির কোনো মিছিল কর্মসূচি নিয়ে তাঁর কাছে খবর থাকে। কিন্তু দলের কোনো মিটিংয়ের ব্যাপারে কোনো কিছুই জানানো হয় না তাঁকে। তাই যেখানে সম্মান পাবেন সেখানেই রাজনীতি করতে চান বলে স্পষ্ট জানান রিমঝিম। শুধু মাত্র সম্মান, গুরুত্ব না পাওয়ার ক্ষোভেই অনেকে দল ছেড়ে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অভিনেত্রীর কথায়, কোনো রাজনৈতিক দলে যখন তিনি এসেছেন তখন সে দলের চিন্তাধারায় বিশ্বাস করতে তিনি বাধ্য। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে যে তাঁর দূরত্ব বাড়ছে তা রিমঝিমের পরের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা বাড়িয়ে তিনি বলেন, “বন্ধুরা অনেকেই তৃণমূলে গিয়েছেন। আমাকেও ভাবতে হবে।”
এর আগে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (dilip ghosh) খোলা চিঠি দিয়ে দল ছাড়ার কারণ জানিয়েছিলেন রূপা ভট্টাচার্য। তিনি ফাঁস করেন দলের অভ্যন্তরের ‘লবিবাজি’র কথা। রূপার খেদ, তাঁরা তিন বছর ধরে দলের সঙ্গে থেকে লড়াই করেও ব্রাত্য হয়ে থাকলেন।
এমনকি নির্বাচনের পরেও তাঁদের শুনতে হয়েছে তাঁরা দলের কেউ না। রূপারা তবু মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন। বাকি শিল্পীরা নাকি দিলীপ ঘোষের ‘রগড়ানি’র জন্যই বিজেপি ছেড়েছেন। রূপার কথায়, দিলীপ ঘোষ ‘ভণ্ড’। এবার রিমঝিমের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়েই জল্পনায় রাজনৈতিক মহল।