বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণের আগে থেকেই দুর্বল অর্থনীতির প্রভাব পড়তে শুরু করেছিল দেশের উৎপাদন ক্ষেত্রে। আর করোনা পরবর্তী সময়ে লাগাতার লকডাউনের জেরে একেবারে ভেঙে পড়ে ভারতের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। এছাড়াও রয়েছে দেশজুড়ে বাড়তে থাকা সীমাহীন বেকারত্ব। তবে আশার কথা এই যে পরিস্থিতিতেও সারা বিশ্বে ম্যানুফ্যাকচারিং হাব (Manufacturing Hub) হিসাবে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে এগিয়ে গিয়েছে ভারত।
সম্প্রতি গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং রিস্ক ইনডেক্স রিপোর্টে বহুজাতিক উপদেষ্টা সংস্থা কুশমান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড শীর্ষ স্থানে থাকা ৪৭টি দেশের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। সেই তালিকায় বিশ্বের সব থেকে বেশি আকর্ষণীয় উৎপাদনমুখী শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে শীর্ষ স্থানীয় দেশগুলির মধ্যে আমেরিকাকে (America) টপকে গিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছে ভারত (India)।
ভারতের আগেই রয়েছে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর পড়শি দেশ চিন (China)। তবে এবারের সমীক্ষা অনুযায়ী এই তালিকায় ভারতের আরও একধাপ এগিয়ে আসার অন্যতম কারণ হল দৈনন্দিন কাজের পরিবেশ এবং কম খরচ। তবে এবছর আমেরিকাকে পেছনে ফেলে ভারতের এগিয়ে যেতে পারার অন্যতম কারণ হিসাবে কুশম্যান বলেছে, এ দেশের আউটসোর্সিংয়ের চাহিদা পূরণ। আর সেইসাথে যুক্ত হয়েছে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য-যুদ্ধের প্রেক্ষিতে চিন থেকে এশিয়ার অন্যান্য অংশে বহু সংস্থার কারখানা সরিয়ে নেওয়ার সুবিধা। আর বিশেষ প্রভাব পড়েছে ভারতের ওষুধ, রাসায়নিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য প্রতিবছরই খরচ ও উৎপাদনের অন্যান্য মাপকাঠিতে গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবের জন্য উপযুক্ত স্থান বেছে নেওয়া হয়। সেই উদ্দেশ্যেই কুশমান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়া মহাদেশের ৪৭ টি দেশের তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় এবছর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তবে গতবছরে রিপোর্ট অনুযায়ী সেই তালিকায় প্রথম দুইয়ে ছিল চিন ও আমেরিকা