বাংলাহান্ট ডেস্ক: রঙিন পাঞ্জাবি, ‘ট্রেডমার্ক’ রঙিন রোদ চশমা এবং এক মুখ হাসি, এটাই নিত্যদিনের সঙ্গী তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (madan mitra)। এই স্টাইল স্টেটমেন্টেই বহু মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি। হোক না রাজনীতির মতো গুরুগম্ভীর জগতের মানুষ, তাঁর মেজাজ কিন্তু বিনোদন জগতের মানুষদের থেকে কম কিছু নয়।
অবশ্য বিনোদন জগতের মানুষজনদের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা। যারা দলে যোগ দিয়েছেন তারা তো বটেই, ইন্ডাস্ট্রির অন্য অভিনেতা অভিনেত্রীদের সঙ্গেও দারুন সখ্যতা মদন মিত্রের। মনে করে তাদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে যান কামারহাটির বিধায়ক। বিনোদুনিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না হয়েও সে জগতে অবাধ বিচরণ তাঁর। অবশ্য আর বেশিদিন নয়, খুব শীঘ্রই ছবির জগতে পা রাখছেন মদন মিত্র।
না, অভিনেতা হিসেবে নয়। শিগগিরিই আসছে তৃণমূল বিধায়কের বায়োপিক। এমনি খবরে গত কয়েকদিধ ধরে উত্তাল রাজনৈতিক ও বিনোদন মহল। পরিচালক রাজর্ষি দে নাকি তৈরি করতে চলেছে মদন মিত্রের বায়োপিক। টলিউডের অভ্যন্তরে এমনি কথাবার্তা চলছে। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন বিধায়ক নিজে।
মদন মিত্র বলেন, “বায়োপিক হলে তো ভালোই লাগবে। তবে রাজর্ষিকে বলব দৃশ্যের মাঝে মাঝে একটু গান বাজনা ঢুকিয়ে দিতে।” তিনি নিজে একাধারে রাজনীতিবিদ এবং গায়ক। মদন মিত্রের ‘ওহ লাভলি’ গান তো ইতিমধ্যেই সুপারহিট। সবসময়ই গানের কলি গুনগুন করতে দেখা যায় তাঁকে। এমন রঙিন মানুষের বায়োপিক রঙিন না হয়ে যায়!
কিন্তু এখন যেটা সবথেকে বড় প্রশ্ন, নিজের বায়োপিকে কি অভিনেতা হিসেবে দেখা মিলবে মদন মিত্রের? বিধায়ক জানান, তিনি অভিনয় করবেন না ঠিকই তবে তাঁর ইচ্ছা বায়োপিক হলে যেন বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠী বা শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নেওয়া হয় নায়ক হিসেবে। পঙ্কজ ত্রিপাঠী ভবানীপুরের ছেলে। তিনি নিজে ফোনে কথা বলেছেন তাঁর সঙ্গে। অভিনেতা কলকাতায় আসলে বাকি কথা হবে বলে জানান মদন মিত্র।
অপরদিকে ছবির টিম নাকি ইতিমধ্যেই শ্বাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এই বিষয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, “আমি শুনেছি উনি খুব ভাল একজন অভিনেতা। হয়তো ওঁর কোনো আপত্তি নাও থাকতে পারে অভিনয়ে।” এবার শেষমেষ বায়োপিক হলে কাকে দেখা যাবে মদন মিত্রের চরিত্রে সেটা দেখার জন্যই অপেক্ষায় সিনেপ্রেমীরা।