বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বৈষম্য করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়েই আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তান (Tajikistan) চরম চটে রয়েছে। মধ্য এশিয়ায় ভারতের রণনৈতিক অংশীদারি আর আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশের মধ্যে একটি হল তাজিকিস্তান। যারা তালিবান সরকারের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব আপন করে চলেছে।
তাজিকিস্তান আপত্তি জাহির করে বলেছে যে, তালিবান শুধু পশতুনদের নিয়েই সরকার গড়েছে। সেখানে তাজিকদেরও জায়গা দেওয়া হয়নি আর না হজরাদের। তাজিকিস্তানের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রহমান (Emomali Rahmon) কড়া ভাষায় তালিবান সরকার সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশীদারিত্ব এবং একটি সমাবেশি সরকারি গঠন করার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি পাকিস্তানকেও (Pakistan) একহাতে নিয়েছেন।
বিগত দুই দশক ধরে তাজিকিস্তানে ক্ষমতায় থাকা রহমানের মতে, আফগানিস্তানের রাজনৈতিক সমস্যাকে দূর করার জন্য সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশীদারিত্বের পাশাপাশি একটি সমাবেশি সরকার বানানো উচিৎ। আফগানিস্তানে নব নিযুক্ত ৩৩ জন মন্ত্রীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ পশতুন সম্প্রদায়ের। হজারা সম্প্রদায়ের একজনকেও এই মন্ত্রীসভায় জায়গা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও তাজিক এবং ইউজবেকদের সঙ্গেও বৈষম্য করা হয়েছে। আর এই কারণেই তাজিকিস্তান তালিবানের উপর চটে রয়েছে।
তাজিক রাষ্ট্রপতি রহমান নিজের আধিকারিকদের দেশে কট্টরপন্থীদের বিষ ছড়ানোর থেকে রোখার জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, তাজিক রাষ্ট্রপতি নাম না নিয়ে পাকিস্তানের উপরেও হামলা করেছেন। উনি বলেছেন, পঞ্জশির দখল করার জন্য তালিবানকে তৃতীয় দেশ (পাকিস্তান) সাহায্য করছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পঞ্জশিরে পাকিস্তানের স্পেশ্যাল ফোর্স তালিবানের পথ সুগম করার কাজ করে চলেছে। শুধু তাই নয়, ড্রোনের মাধ্যমে এয়ার স্ট্রাইক করেও পাকিস্তান তালিবানকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে রাশিয়াও (Russia) মধ্য এশিয়ায় জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। আর সেই কারণে তাঁরা তাজিকিস্তানে ১২টি ট্যাঙ্ক এবং যুদ্ধের অন্যান্য সামগ্রী পাঠিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রালয় শনিবার জানিয়েছে যে, মস্কো তাঁদের মধ্য এশিয়ার সহযোগী এবং আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশ তাজিকিস্তানের শক্তি বাড়াতে চায়। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পর আর দেশে তালিবান শাসন কায়েম হওয়ার পরই রাশিয়া তাজিকিস্তানে যুদ্ধঅভ্যাস করেছে। রাশিয়া তাজিকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা জাহির করে সেখানে নিজেদের সামরিক হাতিয়ার আর সেনাকে মোতায়েন করা শুরু করেছে।