বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডে তাঁর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে, আবার রাজনীতিতেও কম সময়ের মধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন সাফল্য। কথা হচ্ছে দীপক অধিকারীকে নিয়ে, অভিনয় তথা রাজনৈতিক মহলে যিনি পরিচিত দেব (dev) নামে। অভিনয়ের কেরিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পা রেখেছিলেন রাজনীতিতে। অনেকেই তখন ঘোষনা করেছিলেন, এ ছেলের একূল ওকূল দুকূলই গেল।
কিন্তু তাদের সকলকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন দেব। অভিনয়ের সঙ্গে রাজনীতি দুটোই সামলাচ্ছেন তিনি সমান দক্ষতায়। হ্যাঁ, আগের তুলনায় তাঁর ছবির পরিমাণ কমেছে ঠিকই। তবে এখন তিনি অভিনেতার পাশাপাশি প্রযোজকও। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক মহলেও নিজের কাজ, কথাবার্তা মন জয় করছেন বহু মানুষের। দেবের রাজনৈতিক সৌজন্যতার উদাহরণ দেয় অনেকেই।
এত জনপ্রিয়তা, সাফল্যের পেছনে রহস্য কী? দেব বলেন, রাজনীতির লড়াইয়ে জেতার জন্য আন্য দলকে ছোট করতে হবে বা খারাপ শব্দ ব্যবহার করতে হবে তাতে বিশ্বাসী নন তিনি। মানুষকে ভালবেসে বোঝানো হলে ঠিকই সকলে বুঝবেন বলে মনে করেন দেব। তাঁর কথায়, “দিনের শেষে আমার লক্ষ্য জয়ী হওয়া। আর আমি এভাবেই জিততে চাই। এভাবে জয় না পেলে হেরে গিয়েই ভাল থাকব আমি। কিন্তু জীবনে আমি এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করব না যাতে পরবর্তীকালে আমার ছেলে মেয়েরা লজ্জায় পড়ে।”
অভিনেতা সাংসদের কথায়, “আমি কখনো বলি না ভোট আমাকে দিন। যদি আমাদের দল ভাল কাজ করে তাহলেই ভোট দেবেন। দলের জেতার জন্যই তো ভোট চাইছি। এর থেকে বড় সত্যি আর কিছুই নেই।” তাঁর রাজনৈতিক সৌজন্য দেখে মুগ্ধ হয়ে বিরোধী দলের নেতারাও এসে প্রশংসা করেছেন। দেবের কথায়, শুধু অন্য দলই নয়। নিজের দলের লোকেরাও রাজনীতির মঞ্চে খারাপ কথা বললে তাঁর বিরক্ত লাগে।
দেবের মতে, অন্যদের আগেই দোষারোপ না করে বরং নিজের কথাটা বলা উচিত। বাকিটা জনগণই বুঝে নিক। রাজনীতি মানেই যে খারাপ সেই ধারনাটার জন্য কিছু রাজনৈতিক নেতারাই অনেকাংশে দায়ী বলে মনে করেন দেব। এখন রাজনীতির মঞ্চে যেভাবে কুকথার ফোয়ারা ছোটে তা কোনো শিশুর সামনে বসে শোনা যায় না।
এখানেই আপত্তি দেবের। তাঁর বক্তব্য, ছোটদের সবসময় শেখানো হয় খারাপ কথা না বলতে। তাহলে এখনকার রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতা শুনে তারা কী শিখবে! বরং সেই দায়িত্বটা নেতাদেরই নেওয়া উচিত যাতে বাচ্চারা এটা বোঝে নেতা মানেই খারাপ নয়। ভাল কথা বলেও ভোট পাওয়া যায়।