বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঠিক যেন ২০১৪ সালে করা তাপস পালের ‘কুমন্তব্য’র ছায়া দেখা গেল একুশে যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের (saayoni ghosh) মন্তব্যে। যা নিয়ে আবারও তোলপাড় শুরু হল রাজনৈতিক মহলে, উঠল নিন্দার ঝড়। শাসক দলের নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। আবার সায়নীর পাশে দাঁড়ালেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র এবং তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষরা।
বিষয়টা হল, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সুতাহাটার সুবর্ণ জয়ন্তী ভবনে সাংগঠনিক সভায় মঙ্গলবার যোগ দিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। সেখানে গিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুবশক্তির উপর আঘাত আনা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লাঠি পেটা, ছেলে পাঠিয়ে বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, অত্যাচার চলছে’।
সায়নী আর বলেন, ‘জয়া-দেবাংশু-সুদীপদের অবস্থা তো আপনার দেখছেনই। এই পূর্ব মেদিনীপুর থেকেই ১০০ জন ছেলে পাঠালে আগরতলা ঠান্ডা হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। কিভাবে ত্রিপুরার সংগঠনকে কীভাবে ধূলিস্যাৎ করা যায়, তা এখানকার ১০০ টা ছেলেই দেখিয়ে দেব’।
যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষের এমন মন্তব্যে ২০১৪ সালে করা তাপস পালের ‘কুমন্তব্য’র ছায়া দেখতে পেল রাজনৈতিক মহল। শুরু হল বিতর্কের ঝড়। CPIM নেতা রবীন দেব বলেন, ‘সায়নী তাঁর দলের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই এমন কথা বলেছে’।
অন্যদিকে BJP নেতা সায়ন্তন বসুর কটাক্ষ, ‘ত্রিপুরায় যে তৃণমূলের সংগঠন নেই, বাংলা থেকে লোক পাঠাচ্ছে- তা আমরা আগেই সন্দেহ করেছিলাম। এবার তা প্রমাণ হল’।
সায়নীর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সায়নীয় মন্তব্যে তাপস পালের মন্তব্য বা অশালীন ইঙ্গিত বা হিংসার কোন যোগসূত্র নেই। ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হওয়া হামলার ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না’।
অন্যদিকে সায়নীর পাশে দাঁড়ালেন বামপন্থী অভিনেতা বাদশা মৈত্রও। তাঁর কথায়, ‘তাপস পাল এবং সায়নীর মন্তব্যে কোন মিল নেই। আমরা সকলেই বিজেপির বিরুদ্ধে রয়েছি। তবে ১০০ জন পাঠিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয়’।