মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করা থেকে শুরু করে ‘টিএমছিঃ’ শ্লোগান! এখন তৃণমূলই বাবুলের পরম আশ্রয়

বাংলহান্ট ডেস্কঃ পাল্লা ভারী করলেন তৃণমূলের, বিজেপি ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (babul supriyo)। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব হারানোর পর থেকে তাঁকে নিয়ে কম জল্পনা কল্পনা হয়নি রাজনীতির অন্দরে। তবে তিনি তিনি বলেছিলেন, বিজেপি ছাড়লেও, অন্য দলে যোগ দেবেন না।

তবে সেসব এখন অতীত। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে শনিবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিলেন তৃণমূলে। কিন্তু মাস দুয়েক আগেও, তাঁর গলায় শোনা যেন তৃণমূলকে কটাক্ষের সুর, সর্বোপরি কথায় কথায় আক্রমণ করা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু সেই বিরোধী দলই এখন তা পরম আশ্রয়।

babul 2

দেখে নিন বাবুলের করা কয়েকটি তৃণমূল বিরোধী মন্তব্য-

বিধানসভা নির্বাচনের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ‘বাংলার মতো সংস্কৃতিপ্রবণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিম্নরুচির কথা বললে, তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকার দরকার নেই। পায়ের ব্যাথা সেরে যাক ওনার, যাতে উনি হেঁটে রাজভবনে পদত্যাগপত্র জমা দিতে যেতে পারেন’।

babulsupriyo 1552847441 1559232393

‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকের ডগায় বসে, তাঁরই অনুপ্রেরণায় সংগঠিতভাবে কয়লা চুরি করে তৃণমূল। সকলেই জানেন, তাঁর ভাইপো এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আর মাত্র ২০ দিন পর সব শেষ হবে’।

‘দিদি একজন একজন লড়াকু মহিলা, ব্যক্তিগত ভাবে ওনার সুস্থতা কামনা করি। ইতিমধ্যেই ২০১৯ সালে হাফ হয়েছে, আর ২০২১ সালে ওঁনার রাজনৈতিক নৃশংসতা সাফ হবে বাংলা থেকে। সোজা বাংলায়- ”টিএমছিঃ হটাও, বাংলা বাঁচাও”।

babul supriyo campaigning for bjp

‘বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তুঘলকি সরকার চলছে। পুলিশ, প্রশাসন কাঠের পুতুল হয়ে রয়েছে। বিরোধীদের মুখ বন্ধ করাই তৃণমূলের লক্ষ্য’।

bchbcbc

নিশানা করতে বাদ দেননি অভিষেককেও। তিনি বলেছিলেন, ‘ভাইপো বলেন তাঁর নাম কেউ নিতে পারে না। আমি নিচ্ছি, ভাইপো হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা ও গরু পাচারের টাকা দিয়েই কলকাতায় কোটি টাকার বাড়ি বানিয়েছেন। গরু পাচার, কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর