বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখনো হাজার পর্বও ছুঁতে পারেনি ‘মিঠাই’ (mithai)। তার আগেই বাংলা সেরার তকমা নিজের দখলে করে নিয়েছে জি বাংলার এই সিরিয়াল। তাও আবার লাগাতার কয়েক মাস ধরে সেরার শিরোপা ধরে রেখেছে মিঠাই। এ কি কম কথা? সিরিয়ালের টিমের প্রত্যেক জন শিল্পী ও কলকুশলীর পরিশ্রমেই যে এটা সম্ভব হয়ে আসছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দর্শকদের মতে, সুন্দর চিত্রনাট্য এবং প্রত্যেকের সুন্দর অভিনয়ের জেরেই এত ভালবাসা পাচ্ছে মিঠাই। একা সিড মিঠাই না, কাহিনির সঙ্গে সমান্তরালে চলছে আরো একটি সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প। সেটা রাতুল (ratul) এবং শ্রীতমার (sreetama)। মিঠাই সিডের সঙ্গে অনেকাংশেই মিল রয়েছে তাদের। পরিস্থিতির চাপে পড়ে আচমকা বিয়ে এবং তারপর সম্পর্কের অবনতি।
সিরিয়ালের শুরু থেকেই দেখানো হয়েছে শ্রীয়ের বোন নীপার প্রতি দুর্বল রাতুল। কিন্তু একটা ছোট্ট ভুলে বিয়ের দিন নীপা পালিয়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে রাতুলকে বিয়ে করে শ্রী। কিন্তু বিয়েটা প্রথমে মেনে নিতে পারেনি রাতুল। তবে এখন বিষয়টা অনেকটাই অন্য রকম। নিজের অজান্তেই শ্রীর কাছাকাছি চলে আসছে রাতুল। জন্মাচ্ছে অধিকার বোধ। কিন্তু সেটা বুঝতে পারছে না শ্রীতমা।
সিড মিঠাইয়ের পাশাপাশি শ্রী রাতুল অর্থাৎ দিয়া মুখোপাধ্যায় (diya mukherjee) এবং উদয় প্রতাপ সিংয়ের (uday pratap singh) রসায়নও বেশ পছন্দ করছে দর্শক। এমনকি অনস্ক্রিনে তাঁদের কেমিস্ট্রি দেখে অনেকেই মনে করছেন অফস্ক্রিনেও কিছু চলছে তাঁদের মধ্যে। উপরন্তু কিছুদিন আগেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ হয়েছে দিয়ার। তাই জল্পনার আগুনে আরোই ঘি পড়েছে।
কিন্তু দুজনেই জানান বাস্তবে এমন কিছুই নেই তাঁদের মধ্যে। দুজনে খুবই ভাল বন্ধু। উদয়ের প্রেমিকা অনামিকা চক্রবর্তীও টেলিপাড়ার পরিচিত মুখ। তবে দিয়া উদয়ের বন্ধুত্বও বড় কম দিনের না। ‘তুমি এলে তাই’ সিরিয়ালে একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন দুজনে। অবাঙালি হওয়ায় উদয় সে সময় একেবারেই বাংলা পড়তে পারতেন না।
দিয়া জানালেন, তিনিই সে সময় স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনাতেন উদয়কে। এ প্রসঙ্গে একটি মজার ঘটনা শেয়ার করেন দিয়া। ‘অভাব অনটন’ শব্দটাকে উদয় নাকি উচ্চারণ করতেন ‘অভাব টনাটন’। এখন অবশ্য অভিনেতাকে দেখে বোঝার উপায়ই নেই সেটা। রাতুলের চরিত্রে দিব্যি সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করছেন উদয়।