বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতীয় দলের দুই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট কোহলির মধ্যে তুল্য মূল্য আলোচনা বারবারই সামনে আসে। তাদের অধিনায়কত্বের কৌশল এবং নীতি যথেষ্ট আলাদা। একদিকে যেমন মাহিকে বলা হয় ক্যাপ্টেন কুল অন্যদিকে তেমনি বিরাট একজন অ্যাগ্রেসিভ মানসিকতার ক্যাপ্টেন। আজ জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খেলোয়াড়দের কথা যারা ধোনির অধিনায়কত্বে টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন, কিন্তু বিরাটের অধিনায়কত্বে সেভাবে সুযোগ পাননি।
ভুবনেশ্বর কুমারঃ
২০১৩ সালে ধোনির অধিনায়কত্বে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল ভুবনেশ্বর কুমারের। এরপর বিশেষত বিদেশের মাটিতে তার সুইং বোলিং যথেষ্ট সাহায্য করেছে ভারতকে। কিন্তু তিনি যে কোহলির আমলে টেস্ট ক্রিকেটে সেভাবে সুযোগ পাননি, তার পিছনে একটা বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চোট। বর্তমানে মূলত সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই দেখা যায় ভুবনেশ্বর কুমারকে।
সুরেশ রায়নাঃ
প্রাক্তন এই ভারতীয় বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে নানা ভাবে ব্যবহার করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। রায়না টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১৫ সালে ধোনির আমলেই। সে সময় তাকে অলরাউন্ডার হিসেবেও ব্যবহার করেছিলেন মাহি। কিন্তু বিরাটের ক্যাপ্টেন্সিতে মূলত টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে কোহলি তাকে মূলত ব্যবহার করেছিলেন টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে।
শিখর ধাওয়ানঃ
বাঁহাতি আক্রমণাত্মক এই ক্রিকেটার খারাপ ফর্মের কারণে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বাইরে চলে গিয়েছিলেন। শেষবার সাদা জার্সিতে তাকে ময়দানে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। তারপর থেকে আর সেভাবে কাম ব্যাক করার সুযোগ পাননি গব্বর। যদিও এর পিছনে কোহলির খুব একটা দোষ দেওয়া যায় না। কে এল রাহুল এবং রোহিত শর্মার জুটি এই মুহূর্তে ভাঙার কোন প্রশ্নই নেই।
গৌতম গম্ভীরঃ
কার্যত ধোনির আমলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। বাঁহাতি এই ওপেনারের একাধিক ম্যাচ জেতানো ইনিংস থাকলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে কোহলির ক্যাপটেন্সি দেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি। ২০১৬ সালে শেষবার ভারতের সাদা জার্সিতে খেলতে দেখা গিয়েছিল গৌতমকে।
বরুণ অ্যারনঃ
ধোনির অধিনায়কত্বে ২০১১ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল এই জোরে বোলারের। এরপর ২০১৫ সাল অবধি ভারতীয় দলের পেস ব্যাটারির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিলেন তিনি। তবে একবার চোটের কারণে দল থেকে বাদ পড়ার পর তার দিকে আর ফিরে তাকাননি নির্বাচকরা। ফলতো কোহলির আমলে খেলার সুযোগ পাননি বরুণ।