বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের (sudipa chatterjee) বাড়ির দূর্গাপুজো, প্রতি বছরই এই পুজোকে ঘিরে উন্মাদনা থাকে পরিবারের সদস্যদের থেকে শুরু করে টলিপাড়ার তারকাদের মধ্যেও। সুদীপার বাড়ির পুজোয় আমন্ত্রণ থাকে তাঁদেরও। সেজেগুজে উপস্থিত হন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয়রা।
এবারেও নবমীতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন ঋতুপর্ণা। তবে করোনা আবহে অতিথিদের তালিকায় যে একটু হেরফের হবে তা আগেই জানা গিয়েছিল সুদীপা পুত্র আদিদেবের নিমন্ত্রণ পত্রে। সংবাদ মাধ্যমের কাছে সুদীপা আগেই জানিয়েছিলেন তাঁদের বাড়ির পুজোর ভোগের গল্প।
নবমীতে ভোগ তৈরি হয় তুলাইপাঞ্জি চাল দিয়ে। আর দশমীতে দেবী পান্তা খান দশকাঠি সেদ্ধ চাল দিয়ে। সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা, কচুর শাক এবং শাপলার টক। নবমীতে থাকে মহাভোগ। সাত আট রকমের মাছ, নিরামিষ মাংস, সুক্তো ও পায়েস থাকে ভোগে। সত্যিই নবমীতে এলাহি ভোগের আয়োজন হয়েছিল মায়ের জন্য। বেলা আড়াইটে নাগাদ ভোগ দেওয়া হল মা কে।
তালিকায় ছিল গলদা চিংড়ি, নিরামিষ খাসির মাংস, পোলাও, ডাল, ভাজা, রকমারি নিরামিষ তরকারি, পদ্মার ইলিশ, ক্ষীরের মিষ্টি, চাটনি, পায়েস, পান সহ আরো অনেক কিছু। অগ্নিদেবের প্রথম পক্ষের ছেলে আকাশ ও তাঁর হবু স্ত্রীও নিয়ে আসেন ভোগের থালা।
সুদীপাদের বাড়িতে মা দূর্গা আসেন ফলহারিণী রূপে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ফলের তৈরি মালা পরে থাকেন মা। পুজোর শেষ দিনে বিদায়ের আগে মালা থেকে ফল খুলে ছুঁড়ে দেওয়া হয় হরির লুটের মতো। নবমীতে তিনি সাজেন শিউলি ফুলের মালায়।
তবে দশমীর দিন সমস্ত গয়না খুলে শুধুই ফুলের সাজে সাজানো হয় দেবীকে। মায়ের গয়নাও রকমারি! সুদীপা জানিয়েছিলেন,
মায়ের নাকে আছে বাংলাদেশের কমল হিরে। এ ছাড়া, বুক জুড়ে থাকে রুপোর অহেন বর্ম। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সীতাহার আছে। আছে ভিক্টোরীয় আমলে তৈরি জড়োয়ার ময়ূর কণ্ঠহার। পাশাপাশি, সবাই প্রতি বছর কিছু না কিছু অলঙ্কার মাকে উপহার হিসেবে দেন। দেবীর বাহন সিংহও সোনার মুকুটে সাজে! আর মায়ের হাতে কালসর্প, ঢাল থাকে না। বদলে থাকে রুপোর পদ্ম।
দশমীতেই বিদায় দেওয়া হয় বাড়ির মেয়েকে। তাই সকলেরই চোখ ছলছল। বাড়ির কর্তা অগ্নিদেব প্রতিবার মায়ের বিদায়ের সময় হাঁটু মুড়ে বসে পরের বারের জন্য মাকে আমন্ত্রণ জানান। না হলে প্রতিমা নাড়ানো যায় না। সুদীপা বলেন মাকে বিদায় দেওয়ার সময় তাই সবথেকে বেশি কষ্ট অগ্নিদেবেরই হয়।