বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাবা মিঠুন চক্রবর্তীর পদাঙ্কই অনুসরণ করলেন কন্যা দিশানী চক্রবর্তী (dishani chakraborty)। বাবার মতোই অভিনয় জগতে নাম উজ্জ্বল করার স্বপ্ন নিয়ে ময়দানে নামলেন দিশানী। শুরুটা হল সাফল্যের মধ্যে দিয়েই। থিয়েটারের মঞ্চে অভিনয় প্রতিভা দেখিয়ে কিংবদন্তী পরিচালক আল পাচিনোর প্রশংসা কুড়োলেন মিঠুন কন্যা।
বড়পর্দায় কয়েকটি কাজ করার পরে সম্প্রতি থিয়েটারে অভিষেক করেছেন দিশানী। লি স্ট্র্যার্সবার্গ ইনস্টিটিউটে কেমবারলি হ্যারিস পরিচালিত সেমিনারে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পরিচালক আল পাচিনোর সামনে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন দিশানী। পেয়েছেন প্রভূত প্রশংসা।
আপ্লুত দিশানী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ছোট থেকেই অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন তিনি। নাটকে অভিনয় করতে পেরে উচ্ছ্বসিত তিনি। বিশেষ করে আল পাচিনোর সামনে পারফর্ম করতে পারা এক অকল্পনীয় ব্যাপার। দিশানীর কথায়, “শুরুটা দারুন হল। আশা করি বাবার মুখ উজ্জ্বল করতে পারব। প্রতিদিন নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।”
২০১৭ তে অভিনয়ে পা রাখেন দিশানী। দাদা উশমে চক্রবর্তী পরিচালিত ‘হোলি স্মোক’ ছবির মাধ্যমে ডেবিউ করেন তিনি। এছাড়াও ‘আন্ডারপাস’ ও ‘সুটেবল এশিয়ান ডেটিং উইথ পিএমবি’ নামে দুটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন দিশানী।
দীর্ঘদিন আগে দিশানীকে দত্তক নিয়েছিলেন মিঠুন। একদম ছোট থেকে তাঁকে বড় করেছেন মিঠুন। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে দিশানীকে দত্তক নিয়েছিলেন মিঠুন। সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করে এই খবর।
জানা গিয়েছে, ২০ বছর আগে কলকাতার রাস্তায় একটি ডাস্টবিনে একটি কন্যাসন্তানকে পাওয়া গিয়েছিল। শিশুটির অবিরাম কান্নার শব্দ শুনে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায় আশেপাশে। এক সমাজসেবী সংস্থা সেখান থেকে শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিজেদের সংস্থায়। সেখান থেকেই খবর পেয়ে ওই সংস্থায় যান মিঠুন।
শিশুটিকে দেখে তাঁর এতই মায়া হয় যে তিনি তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন শিশুটিকে দত্তক নেবেন। তাকে বাড়ি নিয়ে আসেন মিঠুন। তারপর কাগজপত্র তৈরি করে স্ত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে শিশুকন্যাটিকে দত্তক নেন মিঠুন। অনেকদিন ধরেই একটি মেয়ের শখ ছিল তাঁর। নিজেকে পিতার পরিচয় দিয়ে মিঠুন দত্তক কন্যার নাম রাখেন দিশানী।