বাংলাহান্ট ডেস্ক: জন্মদিনে পাশে ছিল না ছেলে আরিয়ান খান (aryan khan)। নবরাত্রি, দূর্গাপুজোতে যখন গোটা দেশ মেতেছিল উৎসবের আনন্দে তখনো আলো জ্বলেনি মন্নতে। মায়ের মন আর কতদিন বাঁধ মানে? আরিয়ানের জামিনের দিন যত পেছোচ্ছে ততই যেন পাগলপারা হয়ে উঠছেন শাহরুখ-জায়া গৌরি খান (gauri khan)। ছেলে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত তিনি মানত করেছেন, মিষ্টি মুখে তুলবেন না।
শোনা গিয়েছিল, নবরাত্রির সময়েই গৌরি মানত করেছেন যতদিন না আরিয়ান জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে ফেরত আসছে ততদিন তিনি কোনো মিষ্টি মুখে তুলবেন না। এই পুজোর সময়টাতেও কোনো মিষ্টি খাননি গৌরি। ছেলের জন্য এমনি কঠিন মানত রেখেছেন তিনি। মন্নতের সব কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া আছে এই সময়টায় কেউ যেন মিষ্টি জাতীয় কিছু না রাঁধে।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি গৌরি জানতে পেরেছিলেন যে মধ্যাহ্নভোজের সময় মন্নতের কর্মীরা পায়েস রাঁধছে রান্নাঘরে। সঙ্গে সঙ্গে তাদের থামিয়ে গৌরি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, যতদিন না আরিয়ান জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরছে ততদিন কোনো রকম মিষ্টি পদ রাঁধা হবে না মন্নতে।
দিন কয়েক আগেই জেলবন্দি ছেলেকে ৪৫০০ টাকা মানি অর্ডার পাঠিয়েছিলেন শাহরুখ গৌরি। বাড়ির তৈরি খাবার আরিয়ানের কাছে পৌঁছানোর অনুমতি নেই। তাই জেলের ক্যান্টিন থেকেই খাবার কিনে খেতে হবে তাঁকে। করোনাকালে কারোরই পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই। তাই মাসে দু তিনবার পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলতে পারেন জেলবন্দিরা।
সূত্রের খবর, আরিয়ানও সুযোগ পেয়েছিলেন বাবা মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার। মাত্র ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। জেলের এক সিনিয়র আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, মা গৌরি খানের নম্বর দিয়েছিলেন আরিয়ান। সেই নম্বরেই দশ মিনিট ভিডিও কলে কথা বলেছেন তিনি বাবা মায়ের সঙ্গে। কথা বলতে বলতে নাকি কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহরুখ পুত্র।