বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শনাক্ত করা গিয়েছে আসল দোষীকে। নাম ইকবাল হোসেন, বয়স ৩০ বছর। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে, দীর্ঘ অনুসন্ধান করে তবেই আসল দোষীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh) পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, কুমিল্লার (cumilla) নানুয়ার দিঘীর পাড় পুজো মণ্ডপে মা দুর্গার পায়ের কাছে কোরান রেখে দিয়ে বেপাত্তা হয়ে যান ওই ব্যক্তি।
দিনটা ছিল দুর্গা অষ্টমী। বাংলার মত বাংলাদেশেও চলছিল মা দুর্গার আরাধনা। এরই মধ্যে একটি খবর দাবানলের মত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে, কুমিল্লার নানুয়ার দিঘীর পাড় পুজো মণ্ডপে মা দুর্গার পায়ের কাছে কোরান রাখা হয়েছে। আর কোরান অবমাননার দায়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা সহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় দুর্গা মণ্ডপে হামলা করে ভেঙে দেওয়া হয় মাতৃ প্রতিমা, ভেঙে দেওয়া হয় প্যান্ডেলও। সেইসঙ্গে পদ্মাপারের চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অকথ্য অত্যাচার চলতে থাকে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে, রংপুরের পীরগঞ্জে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাট ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রাণ হারান বহু মানুষ। সেইসঙ্গে হামলা চালানো হয় বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরেও। মারা যান এক সদস্য।
এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় গোটা বিশ্বে। নিন্দার ঝড় বইতে থাকে স্যোশাল মিডিয়ায়। এবার এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এক সিসসিটিভি ফুটেজ আসে। যেখানে দেখা যায়, ইকবাল হোসেন নামে এক ভবঘুরে দারোগা হাউস ধর্মস্থান কোরান থেকে চুরি করে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে রেখে গিয়েছিল। যার জেরেই এত অশান্তি।
তবে এই ঘটনার পেছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি কুমিল্লার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের সেকেন্ড মুরাদপুর-লস্করপুর এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনকে শনাক্ত করা হলেও, গ্রেফতারের জন্য তাঁর খোজ চালাচ্ছে পুলিশ।