বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লী গিয়ে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে আসার পর থেকেই বাংলায় কিছুটা উল্টো সুরে গান গাইতে শুরু করে তৃণমূল (tmc)। জাতীয় স্তরে বিজেপিকে হারানোর জন্য সে দলের সঙ্গে জোট গঠন করার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, বাংলায় আসার পর তার সম্পূর্ণ উল্টো কথাই বলতে থাকে সিবুজ শিবির।
উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলেও, কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়, ববি হাকিমরাও। তারউপর কিছুদিন হল গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফালেইরো যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। সবমিলিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের এক বোমা বর্ষণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan Chaudhury)।
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিজেপি সরকার এবং নরেন্দ্র মোদীকে আটকাতে প্রয়োজন কড়া বিরোধী জোটের। গোটা দেশে ৬৩ শতাংশ ভোট বিজেপির বিরুদ্ধে থাকায় তাঁর মধ্যে ২০ শতাংশই কংগ্রেসের ভোট। আর বাংলায় থাকা ৪ শতাংশ পুরোটাই তৃণমূলের। কংগ্রেসকে আটকে দিয়ে তো আর বিজেপিকে ঠেকানো যাবে না। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী জোটের কথা বললেও, কংগ্রেসকে কিন্তু আক্রমণ করতে ছাড়েন না’।
মমতাকে মোদীর দালাল বলে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আগে থাকতেই বাংলা মমতার এবং দিল্লী মোদীর- নিজেদের মধ্যে এমন চুক্তি করে নিয়েছেন মোদী -মমতা। আর সেই মতই চলছেন তাঁরা’।
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লী গিয়ে আমাদের ম্যাডাম সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করে আসার পর গত ৬ ই সেপ্টেম্বর ইডির সমন পেয়েই সুর বদলে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমনকি অভিষেকও বলতে শুরু করল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কারণ, বিজেপির থেকে হুমকি পেয়েই তাঁদের এমন ভোলবদল। নিজের দলের চোর ডাকতদের বাঁচাতে তিনির সুর বদলালেন। মোদী খুব ভালো করেই জানেন, বিরোধীরা একজোট হলে তাঁর সমস্যা আছে। আর এই জন্যই বিজেপি সবথেকে বড় দালাল হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’।