FATF-র ‘গ্রে লিস্টে” ঢুকতেই চুপসে গেল তুর্কি, বন্ধু পাকিস্তানকে ঝটকা দিয়ে কাশ্মীর নিয়ে করল সুর নরম

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফাটল ধরেছে বন্ধুত্বে। এবার কাশ্মীর ইস্যুতে সুর নরম করল আঙ্কারা। যার ফলে তুরস্ক (turkey) ও পাকিস্তানের (pakistan) বন্ধুত্বের মাঝে বড় ফাটলের আশঙ্কা করছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের ধারণা, কাশ্মীর নিয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগান।

কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথমে পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও বর্তমান সময়ে সেবিষয়ে সুর নরম করেছে তুরস্ক। নয়াদিল্লীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে কাশ্মীর সমস্যাকে উইঘুর ও রোহিঙ্গা নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করে পাকিস্তানের পক্ষে থাকা এরদোগান, বর্তমানে অন্য সুরে গান গাইছেন।

46398

কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদী তথা পাকপন্থী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ না করা, এমনকি পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যুতে একটা মন্তব্যও না করা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় রয়েছে ভারতের চরম শত্রু দেশ পাকিস্তান। আশঙ্কায় রয়েছে এবার বুঝি সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটতে চলেছে তুরস্কের সঙ্গে।

এই বিষয়টি আরও গভীর হয়, কারণ সম্প্রতি রাজনৈতিক ও ভূকৌশলগত বিশেষজ্ঞ সের্গিও রেসতেল্লি ‘insideover’ নামের এক ইতালীয় নিউজ ওয়েবসাইটে পাকিস্তান ও তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমান সময়ে পাকিস্তানরে নীতি নির্ধারকরা কিছুটা অখুশি রয়েছে তুরস্কের উপর। কাশ্মীর নিয়ে আর বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, এমনটাই ধারণা তাঁদের।

ধারণা করা হচ্ছে, নিজের কর্ম দোষে বর্তমান সময়ে ‘FATF’-এর ধূসর তালিকায় অবস্থান করছে তুরস্ক। সেইসঙ্গে দেশের ইসলামিকরণ ও হেগিয়া সোফিয়াকে মসজিদে কিছু পরিবর্তন করার ফলে, জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে এরদোগানের। আবার কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের সাথ দেওয়ায় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও মিশরের বিরুদ্ধাচারণ করতে হয়েছে তাঁকে। তাই সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে রয়েছে তুর্কি।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর